ধর্মকর্মে সঞ্চীয় অংশগ্রহণে মানসিক তৃপ্তি ও সামাজিক সুনাম। পেশাদার শিল্পীদের শুভ সময়। ... বিশদ
চলতি ইউরোতে প্রথম ম্যাচ থেকেই ইংল্যান্ডের খেলার ধরণ নিয়ে চলছিল বিস্তর কাটাছেঁড়া। হ্যারি কেন, জুড বেলিংহ্যামদের বিরক্তিকর ফুটবলের জন্য বারবার সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে কোচ গ্যারেথ সাউথগেটকে। বিশেষত নক-আউট পর্বে স্লোভানিয়া ও সুইৎজারল্যান্ডের বিরুদ্ধে তাদের ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। তবে সেমি-ফাইনালে পুরোপুরি অন্য ইংল্যান্ডের দেখা মেলে। শুরুতে পিছিয়ে পড়েও দুরন্ত কামব্যাক করেন হ্যারি কেনরা। শুধু তাই নয়, ফিল ফোডেন, বুকায়ো সাকাদের মধ্যে অনেক বেশি তাগিদ লক্ষ্য করা যায়। সেই তুলনায় ডাচরা অনেক বেশি নিজেদের গুটিয়ে রাখলেন।
৯ মিনিটে নেদারল্যান্ডসকে এগিয়ে দেন জাভি সিমোন্স। নিজেদের অর্ধে রাইস বলের নিয়ন্ত্রণ হারাতেই তাতে দখল নিয়ে গতিতে আক্রমণে ওঠেন এই ডাচ মিডিও। এরপর বক্সের ঠিক বাইরে থেকে দূরপাল্লার শটে প্রতিপক্ষ গোলরক্ষককে পরাস্ত করে জাল কাঁপান তিনি (১-০)। নক-আউট পর্বে শেষ দু’টি ম্যাচে পিছিয়ে পড়েও কামব্যাক করেছিল ইংল্যান্ড। এদিনও তার কোনও পরিবর্তন ঘটল না। ১৬ মিনিটে বক্সের মধ্যে সাকার শট প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারের গায়ে ব্লক হলেও ফিরতি বলে সাইড ভলি করেন হ্যারি কেন। তবে তা রুখতে গিয়ে ফাউল করে বসেন ডামফ্রিস। ভারের সাহায্য নিয়ে পেনাল্টির নির্দেশ দেন রেফারি। আর স্পট কিক থেকে চলতি আসরে তৃতীয় গোলটি সেরে ফেলেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক (১-১)।
ম্যাচে লিড হাতছাড়া হতেই চাপে পড়ে যায় নেদারল্যান্ডস। ২৩ মিনিটে ফিল ফোডেনের শট গোললাইন সেভ করেন ডেমফ্রিস। তবে মিনিটে সাতেক বাদেই তাঁর কাছে সুযোগ এসেছিল ভুলের প্রায়শ্চিত্তের। তবে কর্নার থেকে ভাসানো বলে তাঁর হেড ক্রসবারে লাগে। ডাচদের সমস্যা আরও বাড়িয়ে চোটের কারণে প্রথমার্ধেই মাঠ ছাড়েন ডিপে।
শুরুতেই ওয়েঘহোর্স্টকে এনে আক্রমণে চাপ বাড়ান কোম্যান। ৬৫ মিনিটে ভেরমানের পাস থেকে ফন ডিকের শট দারুণভাবে বিপন্মুক্ত করেন পিকফোর্ড। ৮০ মিনিটে সাকা জাল কাঁপালেও অফ-সাইডের কারণে তা বাতিল হয়। তবে ৯০ মিনিটে কোল পামারের পাস থেকে দুরন্ত গোলে ইংল্যান্ডকে ফাইনালে তোলেন ‘সুপার সাব’ ওয়াটকিন্স (২-১)।