প্রেম-প্রণয়ে কিছু নতুনত্ব থাকবে যা বিশেষভাবে মনকে নাড়া দেবে। কোনও কিছু অতিরিক্ত আশা না করাই ... বিশদ
গত কয়েকদিন ধরে তিনি আইপিএলে বিশেষজ্ঞের মতামত দিচ্ছিলেন মুম্বইয়ে স্টার স্পোর্টসের স্টুডিওতে বসে। বুধবার রাতেও তাঁকে দেখা গিয়েছিল ‘ডাগ-আউটে’। ক্রিকেট নিয়ে তাঁর বিশ্লেষণ ছিল খুবই জনপ্রিয়। মজা করতেও খুব ভালোবাসতেন। যা অন স্ক্রিনেও ধরা পড়েছে বারবার। প্রাক্তন অজি ক্রিকেটারটি বৃহস্পতিবার প্রাতরাশ সেরে আইপিএলের সম্প্রচার সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনায় যোগ দিয়েছিলেন। দক্ষিণ মুম্বইয়ের একটি হোটেলে ধারাভাষ্যকারদের থাকার ব্যবস্থা করেছে সম্প্রচারকারী সংস্থাটি। কাজের ফাঁকেই বারান্দায় সহকর্মীদের সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছিলেন ডিন জোন্স। হঠাৎই তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। সঙ্গেসঙ্গে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসকদের কোনও সুযোগ না দিয়েই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি।
শুধু ধারাভাষ্যকার হিসেবে নয়, ক্রিকেটার হিসেবেও খ্যাতির শিখর স্পর্শ করেছিলেন ডিন জোন্স। সীমিত ওভারের তাঁর দুর্ধর্ষ ব্যাটিং আজও নাড়া দেয় ক্রিকেটপ্রেমীদের। পেস ও স্পিন দু’টোই খুব ভালো খেলতেন জোন্স। ফুটওয়ার্ক ছিল অসাধারণ। আট ও নয়ের দশকে রানিং বিটুইন দ্য উইকেটসে তাঁকে টেক্কা দেওয়ার মতো ক্রিকেটার কম ছিল অস্ট্রেলিয়া দলে। ভিক্টোরিয়া প্রদেশে ১৯৬১ সালের ২৪ মার্চ জন্মগ্রহণ করেছিলেন জোন্স। টেস্ট অভিষেক ১৯৮৪ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে। একই বছরে ওয়ান ডে’তে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তাঁর যাত্রা শুরু। ১৯৯২ সালে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে খেলেছিলেন শেষ টেস্ট ম্যাচ। তার দু’বছর পর দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে অন্তিম ওয়ান ডে খেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে আলবিদা জানিয়েছিলেন ডিন জোন্স। ৫২টি টেস্টে তাঁর সংগ্রহ ৩৬৩১ রান। ১১টি শতরান ও ১৪টি অর্ধ-শতরানও হাঁকিয়েছেন প্রাক্তন অজি তারকাটি। একদিনের ক্রিকেটে ১৬৪টি ম্যাচে তিনি ৬০৬৮ রান করেন। সাতটি শতরানও রয়েছে।
ডিন জোন্স বলেছিলেন, ‘ভারতের মাটিতে ৮৭’র বিশ্বকাপ জয় আমার ক্রিকেট জীবনের সেরা প্রাপ্তি।’ তবে ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীরা তাঁকে আজও মনে রেখেছে ১৯৮৬ সালে মাদ্রাজ টেস্টে অনবদ্য ২১০ রানের ইনিংসের জন্য। ১৯৮৯ সালে অ্যাসেজে করেছিলেন ৫৬৬ রান। মূলত তাঁর ব্যাটে ভর করেই দীর্ঘ অ্যাসেজ জয়ের খরা কাটাতে পেরেছিল অস্ট্রেলিয়া।
অবসরের পর কমেন্ট্রিকেই পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন ডিন জোন্স। ক্ষুরধার বিশ্লেষণের কারণেই তাঁকে ‘ দ্য প্রফেসর’ বলে ডাকা হত। বর্ণবৈদ্বেষমূলক মন্তব্য করে ২০০৬ সালে বিপাকে পড়েছিলেন তিনি। পাকিস্তান প্রিমিয়ার লিগে তাঁকে কোচ হিসেবেও দেখা গিয়েছে।