পেশাদারি উচ্চশিক্ষায় দ্রুত অগ্রগতি ও সেই সূত্রে কর্মপ্রাপ্তির সুবর্ণ সুযোগ আসতে পারে। মিত্রবেশী শত্রু দ্বারা ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ছয়ের দশকের মাঝামাঝি ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্র তৈরি হয়েছিল। প্রথম থেকেই সেখানে ইনডোর ও আউটডোর দুটি বিভাগই চালু ছিল। বড়ঞা ব্লকের অন্তত ২০টি গ্রামের বাসিন্দারা এবং ভরতপুর ১ ব্লকের জজান, গড্ডা, গুন্দোরিয়া পঞ্চায়েতের বাসিন্দারা ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উপর নির্ভরশীল। আটের দশকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে খুবই ভালো পরিষেবা পাওয়া যেত বলে বাসিন্দাদের দাবি। প্রবীণ বাসিন্দা সুখরাম শেখ, নিবারণ সাহা প্রমুখ জানান, আটের দশকে এখানে ছোটখাটো অপারেশনও করতেন ডাক্তারবাবুরা। গ্রামের লোক গোরুর গাড়ি চড়ে রোগী নিয়ে আসতেন। রোগীর পরিবারের লোকজন হ্যারিকেনের আলোতে তাঁবু খাটিয়ে স্বাস্থ্যকেন্দ্র চত্বরেই থাকতেন। গ্রামের লোকও রোগীর পরিজনদের সাহায্য করতেন।
কিন্তু ক্রমশ পরিষেবার মান কমতে থাকে। ন’য়ের দশকের শেষ দিকে পরিষেবা নিয়ে সমস্যা বাড়তে থাকে। এরপর ২০০৪ সালে ইনডোর বিভাগ বন্ধ হয়ে যায়। ওইসময়ে স্বাস্থ্যদপ্তরের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, পরিকাঠামোর অভাবে আপাতত ইনডোর বন্ধ করা হল।এরপর থেকেই এলাকার বাসিন্দাদের ছুটতে হতো বড়ঞা গ্রামীণ হাসপাতাল কিংবা কান্দি মহকুমা হাসপাতালে। তবে ইনডোর বন্ধ হওয়ার পর থেকেই ফের সেখানে নতুন ভবনের দাবি উঠতে থাকে। এরপর জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের নতুন ভবন তৈরির জন্য অর্থ বরাদ্দ করা হয়। ২০১০ সালে নতুন ভবনের কাজ শেষও হয়। ২০১০ সালের ১০ নভেম্বর ভবনের শিলান্যাস করেন তৎকালীন জেলা পরিষদের সভাধিপতি পূর্ণিমা দাস। এর পরের কয়েক বছরে নতুন ভবনও তৈরি হয়। কিন্তু ইনডোর বিভাগ চালু হয়নি। পাঁচথুপি নাগরিক মঞ্চের সম্পাদক অজিতকুমার লাহা বলেন, স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ইনডোর বিভাগ চালুর জন্য দেড় দশক ধরে গ্রামবাসীরা আন্দোলন করে আসছেন। প্রশাসনের বিভিন্ন জায়গায় বার বার আবেদন করা হয়েছে। অবশেষে ইনডোর বিভাগ চালু হচ্ছে বলে জানতে পেরেছি। আমরা খুশি। প্রবীণ বাসিন্দা আলফাজ আতাহার শেখ বলেন, স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ইনডোর বিভাগ চালু হলে এলাকার মানুষ উপকৃত হবেন। এই দিনটি দেখার জন্য আমরা দেড় দশক ধরে অপেক্ষা করে রয়েছি। বড়ঞা বিএমওএইচ সৌমিক দাস বলেন, খুব দ্রুত ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ইনডোর চালু করতে চলেছি। আপাতত সেখানে ছ’টি বেড চালু করা হচ্ছে। মূলত গর্ভবতী মহিলাদের জন্য বেডগুলি ব্যবহার করার পরিকল্পনা রয়েছে। তবে অন্যান্য রোগীরাও সুবিধে পাবেন। বড়ঞা গ্রামীণ হাসপাতাল থেকে প্রতিদিন চিকিৎসকরা সেখানে যাবেন। নিজস্ব চিত্র