সংবাদদাতা, জঙ্গিপুর: লক্ষ্য যুব সমাজকে মোবাইলের কুপ্রভাব থেকে রক্ষা করা। সেই লক্ষ্যে যুবকদের মাঠমুখী করতে আয়োজন করা হল ফুটবল টুর্নামেন্টের। রাজ্যের বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী মহম্মদ আখরুজ্জামানের উদ্যোগে এমএলএ কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট ঘিরে ব্যাপক উন্মাদনা দেখা গেল। এবছরই ফুটবল টুর্নামেন্ট শুরু হল। বৃহস্পতিবার রঘুনাথগঞ্জের জোতকমল এলাকার মাঠে ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। এদিন খেলোয়াড়দের উৎসাহিত করতে মাঠে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় ফুটবল দলের প্রাক্তন খেলোয়াড় দীপেন্দু বিশ্বাস। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র, জঙ্গিপুরের পুলিস সুপার আনন্দ রায় ও টলিউড নায়িকা রুপসা মুখোপাধ্যায়।
জানা গিয়েছে, রঘুনাথগঞ্জ -২ ব্লকের ১২টি অঞ্চলই এই খেলায় অংশ নেয়। গত ২৬জানুয়ারি সাধারণতন্ত্র দিবসে এই খেলার সূচনা হয়। ভারতের প্রবীণ ফুটবলার মানস ভট্টাচার্য তার সূচনা করেন। এদিন ফাইনাল ম্যাচের আগে ফুটবলে কিক করেন দীপেন্দু বিশ্বাস। তাঁর সঙ্গে পা মেলান মন্ত্রী আখরুজ্জামানও। বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, টুর্নামেন্টের প্রতিটি দলই ভালো খেলা উপহার দিয়েছে। যোগ্য দল হিসেবেই ওরা সেরা হয়েছে। আমরা চাই, খেলাধুলোর চর্চা জারি থাকুক। আমাদের ছেলেরা দেশের হয়ে খেলুক।
দীপেন্দু বিশ্বাস বলেন, ছেলের ভালো ফুটবল খেলেছে। তাদের খেলা দেখে আমি খুশি হয়েছি। এরকম টুর্নামেন্ট আরও বেশি বেশি হোক। ভারতীয় ফুটবলের আরও প্রসার ঘটুক।
এদিন বড়শিমুল ও জোতকমল গ্রামপঞ্চায়েত ফাইনাল খেলায় অংশগ্রহণ করে। প্রথম থেকেই হাড্ডাহাড্ডি লড়াই শুরু হয়। তবে সময় যত গড়িয়েছে ততই ম্যাচের রাশ নিজেদের হাতে নেয় বড়শিমুল পঞ্চায়েতের খেলোয়াড়রা। ৪-০ গোলে তারা চ্যাম্পিয়ন হয়। জয়ী দলকে নগদ ৭৫ হাজার ও রানার্স দলকে ৫০টাকা আর্থিক পুরস্কার সহ ট্রফি তুলে দেওয়া হয়। বিদেশিদের পরিবর্তে বাংলার ও দেশের খেলোয়াড়দের বেশি করে সুযোগ দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেন মানসবাবু।
টুর্নামেন্ট কমিটির সভাপতি ইউসুফ শেখ বলেন, টুর্নামেন্টের প্রতিটা খেলা দর্শকরা উপভোগ করেছেন। দর্শকরা যেভাবে আমাদের সহযোগিতা করেছেন, তাতে আগামী দিনে আরও ফুটবলের আসর বসবে। সকলকে আমরা ধন্যবাদ জানাই।