পেশাদারি উচ্চশিক্ষায় দ্রুত অগ্রগতি ও সেই সূত্রে কর্মপ্রাপ্তির সুবর্ণ সুযোগ আসতে পারে। মিত্রবেশী শত্রু দ্বারা ... বিশদ
১৯৫৫ সালে ছোট্ট একটি চালাঘরে শুধুমাত্র পঞ্চম ও ষষ্ঠ শ্রেণির পাঁচ সাত জন ছাত্রীকে নিয়ে শুরু হয়েছিল পথ চলা। তিল তিল করে সেই বিদ্যালয় আজ পরিণত হয়েছে মহীরুহে। স্থানীয় শিক্ষানুরাগীদের সহযোগিতায় এই বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ধীরে ধীরে সেই বিদ্যালয় উচ্চ মাধ্যমিকে উন্নীত হয়। এই বিদ্যালয়ের প্রাক্তনীরা আজ রাজ্য সহ দেশ-বিদেশের নানা স্থানে উচ্চ পদে প্রতিষ্ঠিত। পড়াশোনার পাশাপাশি নির্মল বিদ্যালয় থেকে শুরু করে ক্রীড়া ক্ষেত্রে সফলতা অর্জন করেছে এই স্কুল। যুব সংসদ প্রতিযোগিতাতে ব্লকের মধ্যে প্রথম স্থান পায় এই স্কুলের ছাত্রীরা। ২০৩০ সালে এই বিদ্যালয় ৭৫ বছর পূর্ণ করবে। আর তাই আগামী পাঁচ বছর ধরে প্লাটিনাম জয়ন্তীবর্ষ উদযাপনের উদ্যোগ নিয়েছে বিদ্যালয়।
বৃহস্পতিবার বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা সহকারে সেই অনুষ্ঠানে সূচনা হয়। এদিন বিদ্যালয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, নজরুল ইসলাম, স্বামী বিবেকানন্দ, মাতঙ্গিনী হাজরা, মহাত্মা গান্ধী, ভীম রাও আম্বেদকর, ডঃ সর্বপল্লি রাধাকৃষ্ণাণ, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, ক্ষুদিরাম বসু, আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু ও ডাঃ বিধানচন্দ্র রায়ের মূর্তি প্রতিষ্ঠা হয়। এদিন জেলা পুলিস সুপার ধৃতিমান সরকার বলেন, ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলাতে আগ্রহী হতে হবে। বর্তমানে মোবাইল ও সোশ্যাল মিডিয়া ছাত্র জীবনে যে কুপ্রভাব ফেলছে, তা কাটাতে বইয়ের প্রতি আগ্রহ বাড়াতে হবে। ১১টি মূর্তির পাশে একটি করে কিউআর কোড লাগানোর পরামর্শ দেন তিনি। তা স্ক্যান করে ছাত্রীরা ওই মনীষীদের জীবনী সম্পর্কে জানতে পারবে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা ডঃ লক্ষ্মী দাসঅট্ট বলেন জেলার মধ্যে অন্যতম আমাদের এই বেলদা প্রভাতী বালিকা বিদ্যাপীঠ। বিগত কয়েক বছরে এই বিদ্যালয়কে নতুন করে গড়ে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে। ছাত্রীদের পঠনপাঠন আরও উন্নত করতে স্মার্টক্লাস, বিভিন্ন ধরনের শিক্ষামুলক কার্যক্রম করা হয়। বৃহস্পতিবার থেকে প্লাটিনাম জয়ন্তী পালন করা শুরু হয়েছে। আগামী পাঁচ বছর ধরে নানা অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে তা পালন করে চলব। আশা করি, বিগত দিনের মতো আগামীতেও স্কুলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে এলাকাবাসীর সহযোগিতা পাব।-নিজস্ব চিত্র