পেশাদারি উচ্চশিক্ষায় দ্রুত অগ্রগতি ও সেই সূত্রে কর্মপ্রাপ্তির সুবর্ণ সুযোগ আসতে পারে। মিত্রবেশী শত্রু দ্বারা ... বিশদ
গত ২৩ জানুয়ারি বিজেপি পরিচালিত মল্লারপুর ১ গ্রাম পঞ্চায়েয়ের পক্ষ থেকে বাজার এলাকায় নেতাজির পূর্ণাঙ্গ মূর্তি উদ্বোধনের পাশাপাশি ঘটা করে তাঁর জন্মদিন পালন করা হয়। যা এলাকাকে একটা আলাদা পরিচিতি দিয়েছিল। ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসের দিনও এলাকার অনেকে নেতাজির মূর্তিতে শ্রদ্ধা জানিয়ে যান। কিন্তু বুধবার রাতের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ভাইরাল হতেই সবাই স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছেন। কোন পথে যাচ্ছে সমাজ তা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাত্রি দুটো বেজে ৫৪ মিনিটে চার যুবক নেতাজির মূর্তি দেখে হাসাহাসি করছেন। তাদের একজনের হাতে ক্রিকেটের ব্যাট, অন্যজনের হাতে লাঠি। তারপরেই ব্যাট হাতে থাকা যুবক বেদির উপরে উঠে নেতাজির মূর্তি থেকে চশমা খুলে ঝাঁপ দিয়ে চম্পট।
এদিন সকালে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে অনেকেই লক্ষ্য করেন, নেতাজির মূর্তিতে থাকা চশমাটি গায়েব। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই চাঞ্চল্য তৈরি হয়। অনেকে মূর্তির পাদদেশে উপস্থিত হন। তাঁরা পাশে থাকা একটি দোকানের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখতেই বিষয়টি পরিষ্কার হয়। পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে বিষয়টি মৌখিকভাবে থানায় জানানো হয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ফুটেজ ছড়িয়ে পড়তেই নিন্দার ঝড় বইতে শুরু করে। কেউ ষড়যন্ত্র, কেউ বা দুষ্কৃতীদের শাস্তির দাবি করেন। বেলা বাড়তেই এই নিয়ে তৃণমূল বিজেপির রাজনৈতিক চাপানউতর শুরু হয়। বিজেপির মণ্ডল সভাপতি শ্যামল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, দেশের অন্যতম স্বাধীনতা সংগ্রামীকে এ ভাবে অসম্মানিত করা হবে তা আমরা ভাবতেই পারিনি। এই ধরনের ঘৃণ্য কাজ তৃণমূল ছাড়া আর কেউ করতে পারে না। যদিও এলাকার তৃণমূল নেতা তথা ময়ূরেশ্বর ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ধীরেন্দ্রমোহন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বাংলা তথা ভারতবাসীর হৃদয়ে নেতাজি। সাধারণ মানুষ থেকে রাজনৈতিক কর্মী সকলেই নেতাজিকে তাঁদের হিরো মনে করেন। এই ধরনের কাজ কোনও রাজনৈতিক কর্মী করবে না। এটা মহামুর্খ, বদমাইশদের কাজ। এই ঘটনাকে নিন্দা করার কোনও ভাষা নেই।
যদিও পুলিস জানিয়েছে, এই নিয়ে কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি। তবুও সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে দুপুরের দিকে চারজনকে চিহ্নিত করে থানায় ডেকে আনা হয়। পঞ্চায়েত সদস্যদের উপস্থিতিতে তারা স্বীকার করেছে যে, তারা নেশার ঘোরে এই কাজ করেছে। এই ঘটনার জন্য তারা ক্ষমাও চেয়ে নিয়েছে। তারা নেতাজিকে শ্রদ্ধা জানিয়ে তাঁর মূর্তিতে চশমা পরিয়ে দিয়েছে। ওই চারজনকে সতর্ক করে ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু দেশনায়ককে যারা অসম্মান করল, তাদের বিরুদ্ধে পুলিস স্বতপ্রণোদিত হয়ে কেন ব্যবস্থা নিল না সেই প্রশ্ন তুলেছেন নেতাজি অনুরাগীরা।