পেশাদারি উচ্চশিক্ষায় দ্রুত অগ্রগতি ও সেই সূত্রে কর্মপ্রাপ্তির সুবর্ণ সুযোগ আসতে পারে। মিত্রবেশী শত্রু দ্বারা ... বিশদ
গত ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে হাসন বিধানসভার পঞ্চায়েত সমিতি ও একাধিক পঞ্চায়েতের আসনে জয়লাভ করে বিজেপি, সিপিএম এবং কংগ্রেস প্রার্থীরা। যা শাসকদলকে চিন্তায় ফেলে দিয়েছিল। যদিও একে একে বিরোধী সদস্যদের অনেকেই তৃণমূলে নাম লেখান। স্বভাবতই গত লোকসভা নির্বাচনে হাসন নিয়ে যা প্রত্যাশা ছিল তা পূরণ হয়নি বিরোধীদের। এবার বিধানসভা ভোটের আগে তাদের বড় ধাক্কা দিল ঘাসফুল শিবির।
এদিন তারাপীঠে যোগদান অনুষ্ঠান করা হয়। সেখানে হাসন-২ পঞ্চায়েতের নির্দল সদস্য সাহেব মাল, বিষ্ণপুর পঞ্চায়েতের বিজেপি সদস্যা হরিমতি মালের স্বামী রাজেশ মাল শাসকদলে যোগ দেন। দুনিগ্রাম পঞ্চায়েতের কংগ্রেস সদস্যা খাদিজা বেগম, মমতা বিবি ও মিলি লেট, বিজেপি সদস্য সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও সিপিএম সদস্য মেহিদি হাসান তৃণমূলে যোগ দেন। এছাড়াও এদিন রামপুরহাট-২ পঞ্চায়েত সমিতির কংগ্রেস সদস্য জামাল শেখ তৃণমূলের পতাকা হাতে নেন। উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত নির্বাচনে ২১আসনের দুনিগ্রাম পঞ্চায়েতে কংগ্রেস চারটি আসনে জয়ী হয়েছিল। এই যোগদানের পরে কংগ্রেসের আসন সংখ্যা কমে দাঁড়াল ১, বিজেপির ৪। এই পঞ্চায়েতে সিপিএম নিশ্চিহ্ন হয়ে গেল।
যোগদানকারী পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য জামাল শেখ বলেন, মানুষের উন্নয়নের জন্য ভোটে দাঁড়িয়েছিলাম। কংগ্রেসে থেকে সেটা সম্ভব হচ্ছে না। তাই এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে তৃণমূলে যোগ দিলাম। যোগদানকারী বাকি সদস্যরা বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনপ্রিয়তার ধারেকাছে অন্য কোনও দল নেই। সাধারণ মানুষের পাশে রয়েছেন তিনি। তাই তাঁর পাশে দাঁড়াতে অনুগামীদের নিয়ে তৃণমূলে যোগদান করলাম। সুকুমারবাবু বলেন, বিজেপি, সিপিএম ও কংগ্রেস ছেড়ে পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতি আটজন জনপ্রতিনিধি যোগ দিলেন। কালুহা, হাসন-১ ও ২, দুনিগ্রাম, বিষ্ণপুর, বুধিগ্রাম, সাহাপুর সহ প্রতিটি অঞ্চল থেকে প্রায় দু’হাজার পবিবার তৃণমূলে যোগ দিল। এই যোগদানের ফলে মানুষ বার্তা দিল, আগামী বিধানসভা নির্বাচনে এখানে তৃণমূল ছাড়া আর অন্য কোনও দলের জায়গা নেই।
আশিসবাবু বলেন, কুম্ভমেলায় বিজেপি শাসিত রাজ্যের অব্যবস্থা দেখেছেন। পদপিষ্ট হয়ে মৃতদেহ ময়নাতদন্ত না করেই একটি চিরকুট দিয়ে দেহ পাঠিয়ে দেওয়া হল। যা করার এখানকার সরকার করেছে। ওদের দল সাধারণ মানুষের জন্য কত চিন্তা করে বোঝা যায়! তাই মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি আস্থা রাখে। বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেসের প্রতি নয়। বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক শান্তনু মণ্ডল বলেন, ওরা সাধারণ মানুষের স্বার্থে নয়, নিজেদের উন্নয়নের জন্য তৃণমূলে যোগদান করলেন।
কংগ্রেসের জেলা সভাপতি মিল্টন রশিদ বলেন, অনেক আগেই ওই সদস্যরা তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। একই মুরগি কতবার কাটবে? সিপিএম নেতা সঞ্জীব বর্মণ বলেন, যে যাবে যাক। ঝড় যখন উঠবে তখন সব নিয়ে পতন হবে তৃণমূলের।