পেশাদারি উচ্চশিক্ষায় দ্রুত অগ্রগতি ও সেই সূত্রে কর্মপ্রাপ্তির সুবর্ণ সুযোগ আসতে পারে। মিত্রবেশী শত্রু দ্বারা ... বিশদ
জানা গিয়েছে, প্রতিমার বিসর্জন হয় প্রতি চারবছর অন্তর। আশ্বিন মাসের বদলে মাঘ মাসে সরস্বতী পুজোর পর নবমী তিথিতে দেবাসীন চণ্ডীমাতা পুজোকে ঘিরে রয়েছে নানা কাহিনি। রাবণকে বধ করার জন্য অকাল বোধন করেছিলেন স্বয়ং রামচন্দ্র। তিনি শরৎকালে দুর্গাপুজো করেছিলেন। কিন্তু আমুল গ্রামে অসময়ে দুর্গাপুজোর আয়োজনকে ঘিরে কৌতূহলের সীমা নেই অনেকেরই। কাটোয়ার ২ ব্লকের সিঙ্গি পঞ্চায়েতের আমুল গ্রামের বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের হাত ধরেই এই অকাল দুর্গাপুজো শুরু হয়েছে। জনশ্রুতি, প্রায় ৩৫০ বছর আগে পাশের গ্রামের দেবাসীন নামে একটি সেচখাল থেকে তিনটি কূর্মাকৃতি প্রস্তরখণ্ড পান বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের এক সদস্য। তিনি সেই প্রস্তরখণ্ডগুলিকে দেবী চণ্ডীরূপে পুজো শুরু করেন। পরে এই পরিবারের পূর্বপুরুষ স্বপ্নাদেশ পেয়ে দুর্গারূপে দেবাসীন চণ্ডীমাতার পুজো শুরু করেন। প্রথমে এই পুজো পারিবারিক থাকলেও পরে তা সর্বজনীন হয়ে দাঁড়ায়।
প্রতিমাতেও আছে বৈশিষ্ট্য। দুর্গারূপে দেবাসীন চণ্ডীমাতা দশভুজা হলেও মূর্তির তিনটি হাত বড় আর বাকি সাতটি হাত ছোট। মা দুর্গার আদলেই প্রতিমা গড়া হয়। এখানে দেবীর বাহন ঘোড়া। এক সেবায়েত সুবীরকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমাদের এখানে শরৎকালে দুর্গাপুজো হয় না। তার বদলে মাঘ মাসে দুর্গারূপে দেবাসীন চণ্ডীমাতার পুজো হয়। পুজো একদিনের হলেও চারদিন ধরে উৎসব চলে। গ্রামের এক বাসিন্দা বলেন, আমরা এই পুজোক ঘিরেই চারদিন ধরে আনন্দ করি। যেহেতু শরৎকালে গ্রামে কোনও দুর্গা পুজো হয় না। তাই এই পুজোতেই নতুন জামাকাপড় কিনি। গ্রামজুড়ে এখন উৎসবের মেজাজ।