শেয়ার প্রভৃতি ক্ষেত্র থেকে অর্থ লাভের যোগ। ডাক্তার, মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভ, হস্তশিল্পী প্রভৃতিদের পক্ষে দিনটি শুভ। ... বিশদ
এই বিদ্যালয় জেলার নামী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। স্বাধীনতা প্রাপ্তির তিনবছরের মাথায় অল্পসংখ্যক ছাত্রী নিয়ে স্কুলের পথচলা শুরু হয়েছিল। বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ফণীভূষণ কুণ্ডু ও তাঁর স্ত্রী নীলিমা কুণ্ডুর সহযোগিতায় স্কুল স্থাপন করা হয়েছিল। ঝাড়গ্রামের রাজা নরসিংহ মল্লদেব স্কুল তৈরির জন্য তিন বিঘা জমি দান করেছিলেন। এই স্কুলের প্রাক্তনীদের অনেকেই এখন শিক্ষিকা, ডাক্তার, অধ্যাপিকা, ইঞ্জিনিয়ার, খেলোয়াড়, ব্যবসায়ী, শিল্পী, অভিনেত্রী ও রাজনীতিবিদ হিসেবে কাজ করছেন। এখন বিদ্যালয়ে ১১০০ছাত্রী পড়াশোনা করছে। তপশিলি জাতি ও উপজাতির ৫০জন ছাত্রী স্কুলের হোস্টেলে থেকে পড়ছে। তাদের বেশিরভাগই জেলার প্রত্যন্ত এলাকা থেকে এসেছে। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রতিবছর এই স্কুলের পড়ুয়ারা ভালো ফল করে। সেইসঙ্গে নাচগান, ছবি আঁকা, আবৃত্তিতে অংশ নেয়।
এবছর দশম শ্রেণির ছাত্রী অন্বয়ী ভৌমিক রাজ্যের কনজিউমার অ্যাফেয়ার্স পোস্টার প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করেছে। স্কুলের তরফে ছাত্রীদের সৃজনশীলতা বৃদ্ধিতে জোর দেওয়া হয়। দেওয়াল পত্রিকা, আলপনা ও রঙ্গোলির মতো প্রতিযোগিতা হয়। নানাধরনের হস্তশিল্পের কাজে উৎসাহ দেওয়া হয়। পড়াশোনার সঙ্গে শারীরিক শিক্ষায় নজর দেওয়া হয়। পড়ুয়ারা বার্ষিক ক্রীড়াতেও উৎসাহের সঙ্গে অংশ নেয়।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা অরুন্ধতী সেন বলেন, আমাদের স্কুল এবছর ৭৫ বছরে পদার্পণ করেছে। স্কুলের স্থাপনা ও দীর্ঘ যাত্রাপথে যাঁদের অবদান রয়েছে, তাঁদের আমরা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি। স্কুলের সূচনার দিনে জঙ্গলমহলের মেয়েদের নানা বাধা অতিক্রম করে পড়তে আসতে হতো। তাঁদের সেই লড়াই বিফলে যায়নি। এই স্কুলের বহু প্রাক্তনী এখন নিজ নিজ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত। তাঁরা আমাদের বিদ্যালয়ের মুখ উজ্জ্বল করেছেন। আমরা তাঁদের জন্য গর্বিত।
এই বিদ্যালয়ের ইংরেজির শিক্ষিকা পাপিয়া মহন্তী বলেন, মেয়েরা আজ সর্বস্তরে অগ্ৰণী ভূমিকা নিচ্ছে। শিক্ষার আলো তাঁদের সেই সুযোগ করে দিয়েছে। বর্তমান সময়ে নারীশিক্ষা প্রসারের গুরুত্ব আরও বেড়েছে। কন্যাশ্রীর মতো প্রকল্প স্কুলছুটের সংখ্যা কমিয়ে দিয়েছে। সবুজসাথীর সাইকেল পেয়ে ছাত্রীরা সহজে স্কুলে আসতে পারছে। এরকম নানা সরকারি সুযোগ-সুবিধা ছাত্রীদের স্বপ্নপূরণের পাথেয় হয়ে উঠছে।-নিজস্ব চিত্র