শেয়ার প্রভৃতি ক্ষেত্র থেকে অর্থ লাভের যোগ। ডাক্তার, মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভ, হস্তশিল্পী প্রভৃতিদের পক্ষে দিনটি শুভ। ... বিশদ
ক্লাবের সভাপতি সুদীপ বাগ ও সম্পাদক জয়ন্ত মাল বলেন, ক্লাবের সকল সদস্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে পুজোর আয়োজন করছেন। পুলিস-প্রশাসন সহ সকলের সহযোগিতা ছাড়া এত বড় মাপের অনুষ্ঠান করা সম্ভব নয়।
প্রসঙ্গত, ১৯৬৮সালে পাটনাবাজার এলাকার কয়েকজন স্কুল-কলেজপড়ুয়া এই ক্লাবের সূচনা করেন। তাঁদের উদ্দেশ্য ছিল সমাজ কল্যাণমূলক নানা কর্মসূচির মাধ্যমে মানুষের পাশে দাঁড়ানো। একই সঙ্গে ক্লাব সূচনার প্রথম বছর থেকেই নিষ্ঠা সহকারে সরস্বতী পুজো শুরু হয়। তবে গত প্রায় দশ বছর ধরে থিমের পুজো করে সকলকে তাক লাগিয়ে দিচ্ছে এই ক্লাব। প্রতি বছর ক্লাবের সদস্যদের উদ্যোগে নিত্যনতুন থিম বেছে নেওয়া হয়। বর্তমানে বিভিন্ন পেশার মানুষ এই ক্লাবের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। ক্লাবের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য লক্ষ্মীকান্ত দাস বলেন, আমাদের ক্লাবের মূলমন্ত্র একতা। খেলাধুলোর মধ্য দিয়ে ক্লাব তৈরি হয়। প্রতি বছর মেদিনীপুর শহরের পড়ুয়াদের মঙ্গল কামনায় সরস্বতী দেবীর আরাধনা করা হয়। শহরের প্রাচীন পুজোগুলির মধ্যে এটি অন্যতম।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুধু পুজো নয়, এই ক্লাবের সদস্যরা খেলাধুলোতেও পারদর্শী। তাঁরা ওয়ার্ডভিত্তিক ক্রিকেট টুর্নামেন্টে অংশ নেন। করোনা পরিস্থিতির সময় ক্লাবের সদস্যরা প্রত্যন্ত এলাকার মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। পাশাপাশি মানুষের সুবিধার্থে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেন ক্লাবের সদস্যরা। এছাড়া ক্লাবের পক্ষ থেকে বহু দুঃস্থ মানুষকে বস্ত্র দেওয়া হয়।
ক্লাবের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য বিশ্বনাথ পাণ্ডব বলেন, মানুষের পাশে থাকা আমাদের মূল কর্তব্য। কেউ সমস্যায় পড়লে ক্লাবের সদস্যরা ঝাঁপিয়ে পড়েন। ক্লাবের তরফে আরও নানা সামাজিক কর্মসূচির পরিকল্পনা রয়েছে। মানুষের পাশে এই ক্লাবের সদস্যরা সর্বদা থাকবেন।-নিজস্ব চিত্র