শেয়ার প্রভৃতি ক্ষেত্র থেকে অর্থ লাভের যোগ। ডাক্তার, মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভ, হস্তশিল্পী প্রভৃতিদের পক্ষে দিনটি শুভ। ... বিশদ
ঘাটাল মহকুমায় কোনও রেল যোগাযোগ নেই। তাই পাঁশকুড়া রেল স্টেশন থেকে যে রাস্তাটি মুম্বই রোড ক্রস করে চন্দ্রকোণা টাউন হয়ে চন্দ্রকোণা রোড রেল স্টেশন পর্যন্ত গিয়েছে, সেই সড়কটির ওপরই মহকুমার মানুষ নির্ভরশীল। ওই সড়কের ওপর অনেকগুলি ব্রিজ থাকলেও খুকুড়দহ, গৌরা এবং ঘাটাল শহরে শিলাবতী নদীর উপর ব্রিজগুলি খুবই দুর্বল। অথচ ওই ব্রিজগুলির উপর দিয়েই ৩০-৪০ টনের বেশি মালবাহী গাড়ি নিয়মিত যাতায়াত করত। ওইভাবে মাত্রাতিরিক্ত ভারী গাড়ি যাতায়াত করার ফলে যে কোনওদিন ওই ব্রিজটি ভেঙে পড়তে পারে বলে পূর্তদপ্তরের ইঞ্জিনিয়ারদের আশঙ্কা। তাই বিশেষ করে খুকুড়দহের ব্রিজটি সংস্কার না হওয়া পর্যন্ত ওই ব্রিজ দিয়ে ভারী যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করার প্রস্তাব জেলা প্রশাসনকে দিয়েছিল। তারই প্রেক্ষিতে ওই ব্রিজের উপর দিয়ে ভারী যান যাতে যাতায়াত না করে সেজন্য গতবছর ৩০ ডিসেম্বর পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক খুরশিদ আলি কাদেরি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়ে দেন, ওই ব্রিজের উপর দিয়ে ১৬ মেট্রিক টনের বেশি কোনও গাড়ি যাতায়াত করতে পারবে না। ব্রিজ পেরনোর সময় গাড়িগুলির গতিও প্রতি ঘণ্টায় ১০ কিলোমিটারের বেশি থাকা চলবে না বলে জেলাশাসক ওই নির্দেশেই জানিয়েছিলেন।
বর্তমানে ওই ব্রিজ দিয়ে ১৬ মেট্রিক টনের বেশি গাড়িগুলি যেতে পারছে না। অন্যদিকে, মেদিনীপুর শহরের মুখে মোহনপুর ব্রিজের উপর দিয়েও ভারী গাড়ি চলাচলের বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুর ডিস্ট্রিক্ট ট্রাক অপারেটর্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক প্রদীপ মণ্ডল বলেন, এর ফলে ১৬ টনের বেশি কলকাতা বা হলদিয়া থেকে লরিতে করে ঘাটাল মহকুমা বা তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় মাল নিয়ে আসতে হলে আরামবাগ দিয়ে আসতে হচ্ছে। এর ফলে বহনের প্রচুর খরচ পড়ে যাচ্ছে। এতে বহন খরচও বেশি পড়ছে। অনেকে ঘুরপথ দিয়ে মালপত্র আনতে চাইছেন না। সেজন্য বহু ট্রাক মালিক প্রায় এক মাস কোনও কাজ পাচ্ছেন না। ট্রাক মালিকদের দাবি, যদি খুকুড়দহর ব্রিজ দিয়ে অন্তত ২৫ টন পর্যন্ত বহনের সুযোগ দেওয়া হয়, তাহলে সাধারণ ব্যবসায়ী ও ট্রাক ব্যবসায়ীদের খুবই সুবিধে হতো। সেজন্যই তাঁরা এদিন প্রতীকী অবরোধের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। -নিজস্ব চিত্র