শেয়ার প্রভৃতি ক্ষেত্র থেকে অর্থ লাভের যোগ। ডাক্তার, মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভ, হস্তশিল্পী প্রভৃতিদের পক্ষে দিনটি শুভ। ... বিশদ
আজকের দিনে অধিকাংশ প্রাথমিক স্কুল পড়ুয়ার সঙ্কটে ধুঁকছে। নার্সারি ও ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের ধাক্কায় সরকারি প্রাইমারি খাঁ খাঁ করছে। অথচ, কাখর্দা নারায়ণচন্দ্র প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মোট পড়ুয়া সংখ্যা ১৩১জন। চারজন শিক্ষক-শিক্ষিকা আছেন। প্রধান শিক্ষক নিতাইচন্দ্র মণ্ডল, সহ শিক্ষক চন্দন চক্রবর্তী, সহ শিক্ষিকা মৃণালিনী চক্রবর্তী ও শর্মিলা মান্না একযোগে এই স্কুলকে সবদিক দিয়ে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। ২০১২সালেও এখানে পড়ুয়া ছিল ১০৫জন। এই মুহূর্তে প্রি-প্রাইমারি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ক্লাস হয়। পড়ুয়া সংখ্যা বেড়ে ১৩১জন হয়েছে। শুধু পঠনপাঠন নয়, সেইসঙ্গে সহপাঠ্যক্রমিক কার্যক্রমেও বিশেষভাবে জোর দেওয়া হয়। যোগার পাশাপাশি আঁকা, নাচ ও গান, আবৃত্তি এবং ক্যারাটে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। স্কুল কর্তৃপক্ষ পাঁচজন প্রশিক্ষকের মাধ্যমে আঁকা, নাচ, গান, আবৃত্তি ও ক্যারাটে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে।
১৯৪৬সালে এই স্কুল প্রতিষ্ঠিত হয়। এখানকার অনেক প্রাক্তনী দেশ-বিদেশে প্রতিষ্ঠিত। গত বছর ১৪-১৫আগস্ট স্কুলে প্লাটিনাম জুবিলি অনুষ্ঠান হয়েছে। সেইসময় স্কুলের প্রাক্তনীদের উদ্যোগে আট লক্ষ টাকা আর্থিক তহবিল গড়া হয়। সেই টাকায় স্কুলে একটি বাউন্ডারি ওয়াল, গোটা ভবন সংস্কারের কাজ হয়েছে। আমেরিকা নিবাসী এক প্রাক্তনী ২৫হাজার ও দিল্লির বাসিন্দা এক প্রাক্তনী ১০হাজার টাকা আর্থিক সহযোগিতা করেছেন। কাখর্দা পঞ্চায়েতের সাত-আটটি গ্রাম থেকে পড়ুয়ারা এই স্কুলে পড়াশোনা করে। ২৮জানুয়ারি স্কুল স্পোর্টসে আলিনান ফুটবল ময়দানে এই স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা উল্লেখযোগ্য পারফরমেন্স করে। ১১টি ইভেন্টে প্রথম, ন’টিতে দ্বিতীয় ও পাঁচটিতে তৃতীয় স্থান দখল করে অঞ্চলের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হয় এই স্কুল। সম্প্রতি এই স্কুলের আটজন ছাত্রীর একটি নাচের ভিডিও স্কুলের ফেসবুক পেজে আপলোড করা হয়েছিল। সেটির ভিউয়ার্স সংখ্যা ১০লক্ষ ছাড়িয়েছে। স্কুল কর্তৃপক্ষ এই ঘটনায় উচ্ছ্বসিত।প্রধান শিক্ষক বলেন, এখনকার প্রজন্ম সোশ্যাল মিডিয়ায় মগ্ন। আমরা এই প্রবণতা থেকে ছাত্রছাত্রীদের মুক্ত করতে পঠনপাঠনের পাশাপাশি ক্রীড়া এবং সহপাঠ্যক্রমিক কর্মসূচিতে যুক্ত করেছি। তাতে ভালো ফল পাচ্ছি। আগামী দিনে পড়ুয়া যাতে আরও বাড়ে সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি।-নিজস্ব চিত্র