শেয়ার প্রভৃতি ক্ষেত্র থেকে অর্থ লাভের যোগ। ডাক্তার, মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভ, হস্তশিল্পী প্রভৃতিদের পক্ষে দিনটি শুভ। ... বিশদ
বাঁকুড়ার অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) তথা বাংলার বাড়ি প্রকল্প রূপায়ণের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক রোহন লক্ষ্মীকান্ত যোশী বলেন, এক্ষেত্রে রাজ্য সরকার গৃহ নির্মাণের সব টাকা দিচ্ছে। সেই বিষয়টি জানিয়ে উপভোক্তাকে বাড়ি দেওয়ালে বিস্তারিত লিখতে হবে। সেখানে উপভোক্তার নাম, সংশ্লিষ্ট গ্রাম পঞ্চায়েতের নাম সহ অন্যান্য তথ্য লিপিবদ্ধ করতে হবে। পুরো বিষয়টিতে স্বচ্ছতা বজায় রাখার জন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, বাড়ি তৈরির কাজ খতিয়ে দেখতে জেলাশাসক সিয়াদ এন সহ প্রশাসনের আধিকারিকরা বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করছেন।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা ও বাংলার আবাস যোজনা নিয়ে রাজ্যে অনেক জলঘোলা হয়েছে। ওই ক্ষেত্রেও শেষের দিকে নির্মিত বাড়ির দেওয়ালে বাংলার আবাস যোজনা প্রকল্পের কথা লেখা হচ্ছিল। তারফলে কেন্দ্রীয় প্রকল্প রাজ্যের নামে চালিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠে। যদিও প্রকল্পের বরাদ্দকৃত অর্থের একাংশ রাজ্য সরকার দিত বলে প্রশাসনের দাবি। ব্যয়ভার বহন করার সূত্রে রাজ্যেরও অধিকার থাকে বলে আধিকারিকরা মনে করেন। যদিও অনেক জায়গায় বাংলার আবাস যোজনা মুছে দিয়ে ফের প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা লেখা হয়। তবে তাতে দিল্লির কর্তাদের মন গলানো যায়নি। বিতর্কের মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার অর্থ বরাদ্দ বন্ধ করে দেওয়ায় রাজ্য সরকার গৃহহীনদের মাথার উপর ছাদের ব্যবস্থা করতে তৎপর হয়।
প্রকল্পের প্রথম ধাপে বাঁকুড়ায় ৬৮ হাজার ৫০০ জন বাড়ি তৈরির টাকা পাচ্ছেন। তালাডাংরা উপ নির্বাচনের গেরোয় জেলায় সমীক্ষার কাছ কিছুটা দেরিতে শুরু হয়। তবে এই পর্বে ইতিমধ্যেই প্রকল্পের প্রথম কিস্তির টাকা উপভোক্তারা পেয়ে গিয়েছেন। প্রথম ধাপে ৬০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। অর্ধেক নির্মাণ কাজ হলে বাকি টাকা উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। দু’দফায় মোট এক লক্ষ ২০ হাজার টাকা পাওয়া যাবে বলে আপাতত প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, এর আগে গৃহ নির্মাণ প্রকল্প নিয়ে বিস্তর অভিযোগ উঠেছে। ফলে আমাদেরও অনেক হ্যাপা পোহাতে হয়। বাংলার বাড়ি প্রকল্পের ক্ষেত্রে শুরু থেকেই এব্যাপারে বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে। উপভোক্তাদের কাছ থেকে মুচলেকা সংগ্রহ করা হচ্ছে। কাটমানি বিতর্ক এড়াতে এবারই প্রথম ওই মুচলেকা নেওয়া হচ্ছে। তারপরেও যাতে কারও মনে কোনও সংশয় না থাকে তারজন্য বাড়ির দেওয়ালে উপভোক্তার নাম সহ প্রকল্পের খুঁটিনাটি উল্লেখ থাকাটা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কারণ গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে উপভোক্তা তালিকা টাঙানোর নির্দেশ দেওয়া হলেও অনেক ক্ষেত্রে তা মানা হয় না বলে আমাদের কাছে অভিযোগ আসে। ফলে উপভোক্তাকেই দায়িত্ব নিয়ে বাড়ির দেওয়ালে বিস্তারিত লিখতে হবে। তবে তা করতে হবে গৃহ নির্মাণের কাজ শেষ হওয়ার পর।