শেয়ার প্রভৃতি ক্ষেত্র থেকে অর্থ লাভের যোগ। ডাক্তার, মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভ, হস্তশিল্পী প্রভৃতিদের পক্ষে দিনটি শুভ। ... বিশদ
২০১৭ সালে বীরভূম জেলার ২১৭টি খাদানের মধ্যে ২১১টি পরিবেশ আদালত অবৈধ ঘোষণা করে বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে। খাতায় কলমে সেগুলি বন্ধ থাকলেও সবই চলছে। একইভাবে পরিবেশ দপ্তরের ছাড়পত্র নেই, এমন কয়েক হাজার ক্র্যাশারও অবৈধভাবে চলছে। তবে এখন কারবারের ধরনটা পাল্টে গিয়েছে। আগে খাদান থেকে পাথর তোলার ক্ষেত্রে টন প্রতি রয়্যালটির টাকা আগেই জমা করতে হতো মাইন্স ডিপার্টমেন্টে। অধিকাংশ খাদান অবৈধ ঘোষণা হওয়ায় বৈধ রয়্যালটি নিতে পারছে না। এখন চিপসের উপর ‘ডিসিআর’(ডুপ্লিকেট কার্বন রিসিট) কাটলেই অবৈধ পাথর বৈধ হয়ে যাচ্ছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাথর শিল্পাঞ্চলের রাস্তায় বসানো হয়েছে রয়্যালটি আদায়ের গেট। রয়্যালটি আদায়ের ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছে স্থানীয় ট্রাক্টরগুলিকে। আর এই সুযোগকে কাজে লাগাতে নতুন পন্থা নিয়েছে ব্যবসায়ীরাও। অনেকে ট্রাক্টরে পাথর বোঝাই করে রয়্যালটি গেট পেরিয়ে এসে বোলপুর রাজগ্রাম রোডের চাতরা গ্রামের কাছে ও চাতরা সুলতানপুর রোডের ধারে মজুত করা হচ্ছিল। পরে সেখান থেকে ডাম্পার ও লরিতে বোঝাই করে কোটি কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে পাচার চলছিল। কার্যত চাতরা জুড়ে এমনই একাধিক গোলা হয়েছে। এই গোলা নিয়ে এলাকায় যেমন ধুলো দূষণ হচ্ছে। তেমনি রাস্তাও বেহাল হয়ে পড়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ থাকলেও ‘ডোন্ট কেয়ার’ মনোভাব কারবারিদের। যত্রতত্র পাথরের গোলা হওয়ায় ধুলোর জেরে বাড়ির দরজা, জানালা খোলা দায়। খাবার থেকে বিছানা, আসবাবপত্র সবেতেই জমছে ধুলোর পুরু আস্তরণ। স্থানীয় সূত্রের দাবি, শাসকদলের লোকজনও এই অবৈধ কারবারের জড়িয়ে। ফলে মুখ খুলতে ভয় পান এলাকার মানুষ।
বৃহস্পতিবার সকাল সকাল সেই গোলাগুলিতে হানা দেয় পুলিস প্রশাসনের দল। তাঁরা একের পর এক গোলায় মজুত পাথর বাজেয়াপ্ত করেন। প্রশাসনিক কর্তারা সাফ জানিয়ে দেন, সরকার রাজস্ব ক্ষতি করবে, আর কেউ পকেট ভরবে, এটা মেনে নেওয়া যাবে না। কাউকে এব্যাপারে রেয়াত করা হবে না। দেরিতে হলেও প্রশাসনের এই কড়া মনোভাবের প্রশংসা করেছেন স্থানীয়রা। প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, এর আগে ওখানকার ১২ জন কারবারিকে নোটিস পাঠিয়ে সতর্ক করা হয়েছিল। কিন্তু তারপরও কারবার চালিয়ে যাচ্ছিল। এবার তাঁদের নামে কেস করা হবে।
অন্যদিকে, এদিন মুরারইয়ের পানিয়ারা গ্রামেও পুলিসকে নিয়ে অভিযানে নামেন বিডিও বীরেন্দর অধিকারী। সেখানেও নদী থেকে অবৈধভাবে বালি তুলে এনে রাস্তার ধারে মজুত করা হয়েছিল। বিডিও বলেন, ১০টি গোলায় মজুত প্রচুর পরিমাণে বালি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এক্ষেত্রে কেস করা হচ্ছে।
সব মিলিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষোভ প্রকাশের পরই প্রাকৃতিক সম্পদ লুট রুখতে কড়া হাতে মোকাবিলায় নেমেছে পুলিস প্রশাসন।