কাজকর্মে নতুন সুযোগ আসতে পারে। কর্ম সাফল্যে আনন্দ লাভ। ব্যবসায় উন্নতি। গবেষকদের পক্ষে শুভ। ... বিশদ
বীরভূম জেলার একটা বড় অংশ জুড়ে বইছে অজয় নদ। জেলায় ইলামবাজার, বোলপুর, নানুর হয়ে এই নদ পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ায় গিয়ে গঙ্গার সঙ্গে মিশেছে। বীরভূমের যে এলাকাগুলিতে নদীটি বয়ে গিয়েছে সেখানকার বালি উৎকৃষ্ট হওয়ার কারণে নির্মাণকার্যে তা ব্যবহৃত হয়। এই বালি থেকে কোটি কোটি টাকা উপার্জন হওয়ার কারণে বৈধ ঘাটের পাশাপাশি জেলার বিভিন্ন এলাকায় ব্যাঙের ছাতার মতো অবৈধ বালিঘাটও গজিয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ। প্রশাসন মাঝে মাঝেই অভিযান ও নজরদারি চালায়। কিন্তু জেলায় বিভিন্ন নির্বাচন, মেলা এবং উৎসবে পুলিস-প্রশাসন ব্যস্ত হয়ে পড়লে সেই সুযোগটাকেই কাজে লাগায় বালি মাফিয়ারা। সম্প্রতি বালি পাচারের অভিযোগ সামনে আসতেই বেশ কয়েকদিন ধরেই অভিযান চালাচ্ছে পুলিস ও প্রশাসন। এরপর নানুর থানায় অবৈধ বালির রমরমা কারবার জানতে পেরে গতকাল রাতে জেলাশাসকের নেতৃত্বে প্রশাসনের একটি দল রাউতারা, হোসেনপুর, পালিতপুর এলাকায় পৌঁছায়। একের পর এক ঘাটে আচমকা হানা দিতেই যানবাহন ও বালি তোলার উপকরণ ফেলে বালি মাফিয়ার দল চম্পট দেয়। এরপরই জেলাশাসকের নির্দেশে নানুর থানার পুলিস দুটি আর্থ মুভার-সহ ডাম্পার ও অন্যান্য যানবাহন বাজেয়াপ্ত করে। সংশ্লিষ্ট ঘাটগুলির বিরুদ্ধে আইন মেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিধানবাবু। তিনি বলেন নানুরের পাশাপাশি একই সময়ে ইলামবাজার, সিউড়ি, রামপুরহাট ও ময়ূরেশ্বরেও অভিযান চালানো হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই এই অভিযান চলছে এবং আগামী দিনেও চলবে বলে জানিয়েছেন তিনি। বেআইনি ভাবে বালি উত্তোলন ও পাচারের ঘটনা সামনে এলেই প্রশাসন কঠোর ব্যবস্থা নেবে। অবৈধ কারবার কঠিনভাবে দমন করা হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন।