কাজকর্মে নতুন সুযোগ আসতে পারে। কর্ম সাফল্যে আনন্দ লাভ। ব্যবসায় উন্নতি। গবেষকদের পক্ষে শুভ। ... বিশদ
ভরতপুর থানার সিজগ্রাম পঞ্চায়েতের পল্লিশ্রী গ্রাম থেকে একটি ঢালাই রাস্তা সাহেবনগর গ্রামে চলে গিয়েছে। ওই রাস্তার একদিকে কৃষিজমি ও অন্যদিকে বাবলা নদী। তবে রাস্তায় মানুষজনের খুব একটা চলাচল নেই। রাস্তার দুইদিকে গাছেদের ঘন জঙ্গল। ওই জঙ্গল থেকে প্রায় ১৫ দিন ধরে দুষ্কৃতীরা গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ।
বুধবার সেখানে গিয়ে দেখা গেল, ওই রাস্তার প্রায় ৩০০ মিটার দৈর্ঘ্যজুড়ে রাস্তার দু’ পাশের বহু মূল্যবান গাছ কেটে নিয়ে গিয়েছে দুষ্কৃতীরা। এর কোনওটির ব্যাস এক মিটার পর্যন্ত। রাস্তার দু’ ধারে এখনও কাটা গাছের অংশগুলি পড়ে রয়েছে। মেশিনের মাধ্যমে গাছ গুলি কাটা হয়েছে। অধিকাংশ বাসিন্দা সব জেনেও কিছু বলতে সাহস পাচ্ছেন না। যদিও কাটাইকোনা গ্রামের বাসিন্দা লতিফ শেখ বলেন, প্রায়দিন কাটা গাছগুলি সন্ধ্যায় একাধিক ট্রাক্টরে করে পাচার হয়ে গিয়েছে। কাটাইকোনা গ্রাম থেকে ট্রাক্টরগুলি সালারের দিকে চলে যেত। তবে যারা এসব কাজ করত বাসিন্দারা তাদের আটকানোর সাহস পেতেন না। তবে গাছ কাটার ফলে যেমন পরিবেশের ক্ষতি হল, তেমনি বাবলা নদীর বাঁধের মাটিও আলগা হয়ে যাবে। এবার বন্যার আশঙ্কা বেড়ে গেল। স্থানীয় মিঞা গ্রামের বাসিন্দা নাগর ঘোষ বলেন, প্রায় ১৫ দিন ধরে এই কাণ্ড চলছে। তবে সব জেনে শুনেও আমাদের চুপ থাকতে হয়। কারণ এই রাস্তা দিয়ে আমাদের ব্যবসার কাজে যাতায়াত করতে হয়। তবে পুলিসের সজাগ হওয়া উচিত ছিল।
এদিকে মঙ্গলবার রাতে ভরতপুর থানার পুলিস গাছ কাটার কথা জানতে পেরে হানা দেয়। সেখান থেকে বেশ কিছু কাটা গাছের অংশ পুলিস বাজেয়াপ্ত করেছে। তবে ট্রাক্টরগুলি আটক করতে পারেনি। বাসিন্দারা দাবি করেছেন, প্রায় দু’ সপ্তাহের বেশি সময় ধরে গাছ কাটা চলছে। এই খবর প্রশাসনের কাছে আগেই যাওয়া উচিত ছিল। স্থানীয় পঞ্চায়েত, প্রশাসনও বিষয়টিতে গুরুত্ব দেয়নি। সিজগ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান রাসমিনা বেগম বলেন, যে এলাকায় ঘটনা ঘটেছে, সেটি দুর্গম এলাকা। তাই খবর না পাওয়াটাও আমাদের দুভার্গ্য। তবে বুধবার ঘটনার বিস্তারিত জানিয়ে পঞ্চায়েত থেকে প্রশাসনের বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ জানান হয়েছে। আমরা দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছি। কান্দির মহকুমা শাসক উৎকর্ষ সিং ঘটনার খোঁজ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন।-নিজস্ব চিত্র