কাজকর্মে নতুন সুযোগ আসতে পারে। কর্ম সাফল্যে আনন্দ লাভ। ব্যবসায় উন্নতি। গবেষকদের পক্ষে শুভ। ... বিশদ
নাগরিক পরিষেবার ক্ষেত্রে নানাদিক দিয়ে বঞ্চিত কুপার্স। এমনটাই অভিযোগ এই উদ্বাস্তু কলোনির বাসিন্দাদের। তার উপর তিন বছরের উপর কোনও নির্বাচন নেই ২৩ হাজার জনসংখ্যা বিশিষ্ট কুপার্স ক্যাম্প নোটিফাইড এরিয়া অথরিটির। প্রশাসক হিসেবে মহকুমা শাসককে নিয়োগ করে চলছে কাজ। ২০২২ সালে রাজ্যের ১১ টি পুরসভার ৭৮টি সুস্বাস্থ্যকেন্দ্র গড়ে তোলার উদ্যোগ নেয় সুডা (স্টেট আরবান ডেভলপমেন্ট এজেন্সি)। কুপার্সের কপালে জোটে দু’টি। এ ছাড়াও আগের পাঁচটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র রয়েছে। কিন্তু সেগুলি হাল অত্যন্ত বেহাল। চিকিৎসা পরিষেবার নামমাত্র জোটে না বলে অভিযোগ। বাসিন্দাদের একমাত্র ভরসাস্থল হয়ে ওঠে রানাঘাট মহকুমা হাসপাতাল। স্বাভাবিকভাবে দু’টি সুস্বাস্থ্যকেন্দ্র পেয়ে মুখে হাসি ফুটেছিল কুপার্সবাসীর। কিন্তু, দীর্ঘ টালাবাহানায় সেগুলি কিছুতেই আর চালু হচ্ছিল না। এদিন থেকে একজন জুনিয়র চিকিৎসককে নিয়োগ করে একটি সুস্বাস্থ্যকেন্দ্রে পরিষেবা শুরু করল প্রশাসন। অন্যটি কবে খুলবে? মহকুমাশাসক বলেছেন, ‘আমরা দ্রুত খোলার চেষ্টা করব।’ বিধায়ক বলেন, ‘আপাতত একটি সুস্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকেই চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেছি, এখানে একটি হাসপাতাল অত্যন্ত প্রয়োজন। আশাকরি, দ্রুত কুপার্সের ছবিটা বদলে দিতে সক্ষম হব।’ চালু হওয়া সুস্বাস্থ্যকেন্দ্রে সদ্য পাশ করা এক চিকিৎসক ও দু’জন নার্সকে নিয়োগ করা হয়েছে। এই তিনজনের পক্ষে পরিষেবা কতখানি দেওয়া সম্ভব হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কুপার্সবাসী। যেমন প্রবীর দাস নামে স্থানীয় একজন বলছিলেন, ‘গোটা শহরের অবস্থাই বেহাল। তার মধ্যে একটি সুস্বাস্থ্যকেন্দ্র খুলল। কিন্তু একজনমাত্র চিকিৎসক কীভাবে সামাল দেবেন, তা বুঝে উঠতে পারছি না।’