কাজকর্মে নতুন সুযোগ আসতে পারে। কর্ম সাফল্যে আনন্দ লাভ। ব্যবসায় উন্নতি। গবেষকদের পক্ষে শুভ। ... বিশদ
বাঁকুড়ার খাদ্য নিয়ামক শেখ আলিমুদ্দিন বলেন, আমরা ইতিমধ্যেই জেলায় ৫১ হাজার ২৩১ জন চাষির কাছ থেকে ১ লক্ষ ৫৬ হাজার ৪৪১ মেট্রিক টন ধান কিনে ফেলেছি। শিবিরগুলিতে অনেক রাত পর্যন্ত রাইস মিলের শ্রমিকরা কাজ করছেন। সেই কারণে পরের দিন সকাল সকাল শিবিরে তাঁরা যেতে পারছেন না। কিছুটা দেরি হচ্ছে। কীভাবে সমস্যার সমাধান করা যায়, তা দেখা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, আগে চাষিরা ফসলের ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হতো। পরে সরকার ধান, পাট সহ একাধিক ফসলের ন্যুনতম সহায়ক মূল্য(এমএসপি) চালু করে। ওই সহায়কমূল্যে যাতে চাষিরা তাঁদের উৎপাদিত ফসল বিক্রি করতে পারেন, তা সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরকে নিশ্চিত করতে হয়। এরাজ্যে সরকার সরাসরি চাষিদের কাছ থেকে ধান কিনে থাকে। এবছর আমন ধানের কুইন্টাল প্রতি ২৩০০ টাকা দাম ধার্য হয়। চাষিরা কিষান মান্ডি তথা স্থায়ী সরকারি ধান ক্রয় কেন্দ্রে তা পৌঁছে দিলে কুইন্টালে অতিরিক্ত ২০ টাকা উৎসাহ ভাতা দেওয়া হচ্ছে। গতবারের তুলনায় এবার জেলা খাদ্যদপ্তর ৪০ হাজার মেট্রিক টন ধান কম কিনতে চলেছে। গতবছর আমনের মরশুমে জেলায় ৩ লক্ষ ৩২ হাজার ৫৯০ মেট্রিক টন ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছিল। এবার তা কমিয়ে ২ লক্ষ ৯২ হাজার মেট্রিক টন করা হয়েছে।
বাঁকুড়ায় এবার মোট ৪১টি ধান ক্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। তারমধ্যে ৩৪টি স্থায়ী এবং সাতটি ভ্রাম্যমাণ ধান ক্রয় কেন্দ্র রয়েছে। গতবার ২৯টি স্থায়ী ও তিনটি ভ্রাম্যমাণ মিলিয়ে জেলায় মোট ৩২টি ধান ক্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছিল। বেশি ধান উৎপাদন হয় এমন ব্লকে রাজ্য সরকার কিষান মান্ডি নির্মাণ করেছিল। প্রথম দিকে অবস্থানজনিত কারণে অনেকেই মান্ডিমুখী হয়নি। তবে ধীরে ধীরে মান্ডিগুলি জনপ্রিয় হচ্ছে বলে আধিকারিকরা জানিয়েছেন। ফলে সেখানে ধান কেনার শিবির করা হচ্ছে। ওইসব জায়গাতেই ধান কেনা নিয়ে টালবাহানার অভিযোগ তুলে চাষিরা সরব হয়েছেন।
রানিবাঁধের বাসিন্দা সুকুমার মাহাত, ওন্দার পরেশ মণ্ডল বলেন, স্থায়ীর পাশাপাশি ভ্রাম্যমাণ ক্রয় কেন্দ্রগুলিও ঠিকমতো কাজ করছে না। আগাম দিনক্ষণ ঘোষণা করেও খাদ্যদপ্তরের লোকজন ধান কিনতে গড়িমসি করছে। ফলে বাধ্য হয়েই চাষিরা ফড়েদের কাছে যাচ্ছেন। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা প্রয়োজন। - নিজস্ব চিত্র