কাজকর্মে নতুন সুযোগ আসতে পারে। কর্ম সাফল্যে আনন্দ লাভ। ব্যবসায় উন্নতি। গবেষকদের পক্ষে শুভ। ... বিশদ
এদিন সকাল ৯টায় ব্যান্ড ও ট্যাবলো সহযোগে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা হয়। তারপর সঙ্গীত ও প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হয়। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও সর্বপল্লি রাধাকৃষ্ণানের আবক্ষ মূর্তির উন্মোচন হয়। বিকেলে সঙ্গীত, আবৃত্তি, একক এবং গ্রুপ নৃত্য পরিবেশিত হয়। বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা অবাক জলপান নাটক পরিবেশন করে। সন্ধ্যা ৬টায় নৃত্যনাট্য ক্ষীরের পুতুল পরিবেশিত হয়।
শুক্রবার স্কুলের বর্তমান ও প্রাক্তনীদের নিয়ে আঁকা প্রতিযোগিতা হবে। এছাড়াও আবৃত্তি, ক্যুইজ, প্রাক্তনীদের বরণ প্রভৃতি অনুষ্ঠান রয়েছে। দুপুর আড়াইটায় যেমন খুশি সাজো এবং বিকেল সাড়ে ৪টেয় পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান রয়েছে। এদিন শতবর্ষ উদযাপন কমিটির সভাপতি সহদেব জানা, স্কুল পরিচালন কমিটির সভাপতি হরেন্দ্রনাথ মাইতি প্রমুখ বক্তব্য রাখতে গিয়ে স্কুলের ইতিহাস তুলে ধরেন। পুরপ্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান নন্দ মিশ্র স্কুলের ইতিহাস এবং ছাত্রগড়ার নেপথ্যে মধুসূদনবাড় প্রাইমারি স্কুলের অবদান নিয়ে বক্তব্য রাখেন।
অনেকেই বলেন, বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাকালে জমিদান নিয়ে অনেকের মধ্যে দ্বিমত ছিল। বাড়ির ছেলেরা বইপত্র নিয়ে স্কুলে গেলে জমিতে চাষ করবে কারা? এনিয়ে প্রশ্ন তুলে একটা অংশ স্কুল নিয়ে আপত্তি তুলেছিল। সেই আপত্তি ধোপে টেকেনি। ওই জায়গায় স্কুল নির্মিত হয়। ওইসময় ইংরেজরা মোট ১৬টি স্কুলের অনুমোদন দিয়েছিল। তারমধ্যে তৎকালীন পূর্ববঙ্গে আটটি এবং অবিভক্ত মেদিনীপুরে আটটি স্কুল ছিল। প্রথমে স্কুলের নাম ছিল বিষকিম বোর্ড প্রাইমারি স্কুল। পরবর্তীতে নাম বদলে হয় মধুসূদনবাড় প্রাথমিক বিদ্যালয়। শুরুতে খড়ের চালা ও মাটির ঘর ছিল। এখন দ্বিতল বিশিষ্ট কংক্রিটের ঝকঝকে বিল্ডিং। বেসরকারি নার্সারি ও ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের দাপটের মধ্যেও পাঁশকুড়া শহরের এই স্কুলে ছাত্রছাত্রী সংখ্যা ২৩০জন। আটজন শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছেন।
(মধুসূদনবাড় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শতবর্ষ উদযাপনের অনুষ্ঠান।-নিজস্ব চিত্র)