কাজকর্মে নতুন সুযোগ আসতে পারে। কর্ম সাফল্যে আনন্দ লাভ। ব্যবসায় উন্নতি। গবেষকদের পক্ষে শুভ। ... বিশদ
স্কুলের প্রধান শিক্ষক মধুমোহন নন্দী বলেন, স্কুল বিল্ডিংয়ের বাইরে জলের ওই ট্যাঙ্কটি রয়েছে। পিএইচই-র অধীন জল প্রকল্প থেকে তার সংযোগ দেওয়া হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়মতো জল এসে ট্যাঙ্কটি ভর্তি হয়। এদিন সকালে স্থানীয় বাসিন্দারা খবর দেন জলের রং গোলাপি। তা ব্যবহার যাতে না করা হয় সেইজন্য নজর রাখতে বলি। পরে স্কুলে এসে আমরাও দেখি জলের রং গোলাপি। আমাদের আশঙ্কা ষড়যন্ত্র করে কিছু মিশিয়ে দেওয়া হতে পারে। তাই ছাত্রছাত্রীদের নিরাপত্তার স্বার্থে এদিন প্রশাসনের সবস্তরে জানিয়ে স্কুল ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়। ট্যাঙ্কের জল এদিন কেউ ব্যবহার করেনি। ফলে কোনও অপ্রীতিকর খবর পাওয়া যায়নি। জলের ট্যাঙ্কটি পরিষ্কার করা হয়েছে। আজ, শুক্রবার থেকে ফের স্কুল খুলতে বলেছে প্রশাসন। তাঁর অভিযোগ, স্কুলের পাশে রাস্তা ও পুকুর রয়েছে। পড়ুয়াদের নিরাপত্তার কথা ভেবে পাঁচিল ও সাবমার্সিবল পাম্প প্রয়োজন। বিষয়টি আমরা আগেও প্রশাসনকে জানিয়েছি।
ডিহিবাগনান প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় ৮০ জন পড়ুয়া রয়েছে। শিক্ষক রয়েছেন পাঁচজন। ওই ট্যাঙ্কের জলেই মিড ডে মিল রান্না, খাওয়া ও অন্যান্য কাজ করা হয়। এদিন জলের গোলাপি রং দেখে পড়ুয়া থেকে অভিভাবকরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। খবর পেয়ে স্কুলে যায় আরামবাগ থানার পুলিস। এছাড়া হুগলি জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি কৃষ্ণচন্দ্র সাঁতরা, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সহ স্থানীয় জন প্রতিনিধিরা যান। ওই ট্যাঙ্ক থেকে জলের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। তা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। আরামবাগ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শিশির সরকার বলেন, জলের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। দাবিমতো স্কুলে সাবমার্সিবল পাম্প ও পাঁচিল নির্মাণের ব্যাপারে জেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। দ্রুত যাতে কাজগুলি হয় তার জন্য আমরা দরবার করব। স্থানীয় বাসিন্দা অর্পণ ঘোষ বলেন, জলের ট্যাঙ্কটি নিরাপদ স্থানে নেই। এদিনের ঘটনার পর অভিভাবকরা কী ভরসায় ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠাবেন। জলটি বিষাক্ত কি না তাও বোঝা যাচ্ছে না। তাই দ্রুত নিরাপত্তার ব্যাপারে প্রশাসন ব্যবস্থা নিক। -নিজস্ব চিত্র