কাজকর্মে নতুন সুযোগ আসতে পারে। কর্ম সাফল্যে আনন্দ লাভ। ব্যবসায় উন্নতি। গবেষকদের পক্ষে শুভ। ... বিশদ
এদিন নদীর ধারে দাঁড়িয়েছিলেন চাঁদড়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ধজিধরা গ্রামের বাসিন্দা কমলা রানা। এই গ্রামে ৩০০টির বেশি বাড়ি ছিল। কিন্তু বর্তমানে মাত্র ৬০টি রয়েছে। তিনি বলেন, গ্রামের বেশিরভাগ অংশ চলে গিয়েছে নদীতে। বর্ষায় ব্যাপক নদী ভাঙন হওয়ায় চাষের জমি ছাড়াও অসংখ্য বাড়ি তলিয়ে গিয়েছে। বিধায়ক আশ্বাস দিয়েছেন। এবার হয়তো কাজ হবে। না হলে গ্রামের পর গ্রাম শেষ হয়ে যাবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মেদিনীপুর বিধানসভা এলাকার মধ্যে রয়েছে চাঁদড়া, মণিদহ, কঙ্কাবতী গ্রাম পঞ্চায়েত। এইসব পঞ্চায়েতগুলির নদী তীরবর্তী বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষের মূল সমস্যা নদী ভাঙন। নদী ভাঙনের জেরে শতাধিক মানুষ ঘরছাড়া হয়েছেন। শুধু চাঁদড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তরডাঙা এলাকায় চারশো বিঘা জমি চলে গিয়েছে নদী গর্ভে। এদিন উত্তরডাঙা এলাকায় নদীর ধারে বসেছিলেন রামজয় পাল। তিনি বলেন, নদী মানুষের অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই এলাকার মানুষ আতঙ্ককে সঙ্গী করেই বেঁচে থাকে। বর্ষায় বিঘার পর বিঘা জমি চলে যায় নদীতে। একটা বড় বাঁধ তৈরি হলে এই সমস্যার সমাধান হবে। ভাঙনের সময়ে মানুষের ভরসা স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়। বহু মানুষের বাড়ি নদী ভাঙনের জেরে তলিয়ে যাওয়ায় তাঁরা কেউ ভাড়া বাড়ি, কেউ ত্রিপলের অস্থায়ী বাড়িতে দিন কাটাচ্ছেন।
স্থানীয় এক বাসিন্দার কথায়, আগে বহু বিধায়ক কথা দিয়েও কথা রাখেননি। ভোট মিটলেই আমাদের ভুলে যেতেন জন প্রতিনিধিরা। সুজয়বাবুর উপর আমাদের বিশ্বাস আছে। বহু মানুষ সরকারি প্রকল্পে বাড়ি পেয়েছে ঠিকই। কিন্তু জমি থাকলে তবে তো বাড়ি তৈরি হবে। গত বছরেও ধজিধরা গ্রামের দু›টি বাড়ি তলিয়ে গিয়েছে। নদীতে সব ভেসে যাওয়ায় পড়াশোনা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে অনেকে।
(কংসাবতীর ভাঙন।-নিজস্ব চিত্র)