গৃহে শুভ অনুষ্ঠান উপলক্ষে কর্মব্যস্ততা। অর্থকরী আয়ের ক্ষেত্রটি অনুকূল। ব্যয়ের চাপ কিছুটা বাড়তে পারে। বিদ্যায় ... বিশদ
পুলিস জানিয়েছে, কয়েকমাস ধরে ওই মহিলা আধিকারিক সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রে ডিউটিতে থাকার সময় ওষুধ কেনার অছিলায় দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকত লক্ষ্মীরাম। ডিউটি সেরে পঞ্চমৌলির জঙ্গল দিয়ে যাওয়ার সময় তাঁর উদ্দেশে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করে অভিযুক্ত। বুধবার দুপুর আড়াইটা নাগাদ ডিউটি থেকে ওই মহিলা আধিকারিক ফিরছিলেন। সেই সময় কুৎসিৎ অঙ্গভঙ্গি করে লক্ষ্মীরাম। এমনকী গাড়ি নিয়ে যাওয়ার সময় লক্ষ্মীরাম তাঁকে স্পর্শ করার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। এতে তিনি ভয় পেয়ে যান। তিনি স্বামীকে ফোন করে ঘটনার কথা জানান। আশপাশের লোকজন এলে অভিযুক্ত পালিয়ে যায়। এরপরই তিনি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
গলসিতে ধৃত স্বামী সহ ৩: গলসি থানার ধারসোনা গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে গৃহবধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়িকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃতদের নাম পার্থ বাগ, সুবোধ বাগ ও চন্দনা বাগ। বৃহস্পতিবার বিকেলে গলসি থানার কুলগড়িয়া বাজার এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। মৃতার নাম ঋতু বাগদি। গলসি থানার বিক্রমপুরে তাঁর বাপেরবাড়ি। ধৃতদের শুক্রবার বর্ধমান সিজেএম আদালতে পেশ করা হয়। বিচারক পার্থকে পাঁচদিনের পুলিসি হেফাজত এবং বাকিদের বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়ে ৪ ডিসেম্বর আদালতে পেশের নির্দেশ দেন। বছর খানেক আগে পার্থর সঙ্গে প্রেম করে বিয়ে হয় ঋতুর। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই বাপেরবাড়ি থেকে যৌতুক আনার জন্য ঋতুকে চাপ দেওয়া হয়। তা দিতে দেরি হওয়ায় শ্বশুরবাড়িতে তাঁকে নানারকম গঞ্জনা সহ্য করতে হতো। বাপেরবাড়ির লোকজন বিয়ের কিছুদিন পর যৌতুক দেন। যদিও তারপরও নির্যাতন বন্ধ হয়নি। বৃহস্পতিবার সকালে বাড়িতে ফোন করে ঋতু তাঁর উপর হওয়া অত্যাচারের কথা জানান। দুপুরে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। ঘটনার বিষয়ে মৃতার বাবা সন্তোষ বাগদি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগ, শ্বশুরবাড়ির নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে মেয়ে আত্মঘাতী হয়েছে।