গৃহে শুভ অনুষ্ঠান উপলক্ষে কর্মব্যস্ততা। অর্থকরী আয়ের ক্ষেত্রটি অনুকূল। ব্যয়ের চাপ কিছুটা বাড়তে পারে। বিদ্যায় ... বিশদ
প্রসঙ্গত এর আগে তমলুক থানার নিমতৌড়িতে বিজেপির গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামীকে নিজের হোটেলে বেআইনিভাবে মদ বিক্রির অভিযোগে পুলিস ধরে। এছাড়াও নন্দকুমার ব্লকের কল্যাণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপির প্রধানের স্বামী জুয়া খেলার সময় পুলিসের হাতে ধরা পড়ে। এক সপ্তাহের মধ্যে বেআইনিভাবে মদ বিক্রির অভিযোগে পুলিসের হাতে ধরা পড়ল আরও এক বিজেপি নেতা। শুক্রবার ধৃত নেতাকে কাঁথি এসিজেএম কোর্টে তোলা হলে বিচারক সাতদিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।
বেআইনিভাবে মদ বিক্রির বিরুদ্ধে গোটা জেলায় তিনদিনের স্পেশাল ড্রাইভ চলছে। বড়দিন এবং নিউ ইয়ারের আগে পূর্ব মেদিনীপুরে নামি-দামি ব্র্যান্ডের নকল মদ বিক্রি চলছে। লেবেল, হলোগ্রাম নকল করে ভেজাল মদ বিক্রির ঘটনায় আবগারি দপ্তরের হাতে তিনজন ধরা পড়েছে। এই ঘটনা সামনে আসার পরই আবগারি এবং পুলিস জোর অভিযান শুরু করেছে। ২৮ থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত প্রতিটি থানাকে বেআইনি মদ বিক্রির বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন পুলিস সুপার সৌম্যদীপ ভট্টাচার্য। সেইমতো ভূপতিনগর থানার পুলিসও বৃহস্পতিবার রাতে অভিযানে নামে। গোপালচক এলাকা থেকে ওই বিজেপি নেতাকে বেআইনিভাবে মদ বিক্রির অভিযোগে পাকড়াও করা হয়।
ভগবানপুরের বিধায়ক বিজেপি নেতা রবীন্দ্রনাথ মাইতি বলেন, ব্লকতৃণমূলের সভাপতি অম্বিকেশ মান্না এই তল্লাটে মদের খুচরো দোকান তৈরির জন্য ঢালাও অনুমতি দিচ্ছেন। আমার কাছে খবর, শিবশঙ্কর ভুঁইয়াকে তৃণমূল পার্টিতে নেওয়ার জন্য বেআইনিভাবে মদ বিক্রির ছাড়পত্র দিয়েছিলেন। এধরনের কাজ আমাদের পার্টি অনুমোদন করে না। তৃণমূল নেতার থেকে ছাড়পত্র নিয়েই মদ দোকান খুলে পুলিসের হাতে ধরা পড়েছেন শিবশঙ্কর।
এনিয়ে ব্লক তৃণমূল সভাপতি অম্বিকেশ মান্না বলেন, ধৃত শিবশঙ্কর গত ২৩মে আমার উপর হামলার ঘটনায় জড়িত ছিল। জুখিয়া পঞ্চায়েত অফিসে বোর্ড গঠনের সময় বোমাবাজি করেছিল। পুলিসের উপর হামলা করেছিল। তার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট রয়েছে। ভূপতিনগর থানার ওসি শেখ মহম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, বেআইনিভাবে মদ বিক্রির অভিযোগে বৃহস্পতিবার রাতে গোপালচক এলাকা থেকে শিবশঙ্কর ভুঁইয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।