গৃহে শুভ অনুষ্ঠান উপলক্ষে কর্মব্যস্ততা। অর্থকরী আয়ের ক্ষেত্রটি অনুকূল। ব্যয়ের চাপ কিছুটা বাড়তে পারে। বিদ্যায় ... বিশদ
মেলায় বিভিন্ন দপ্তরের ৬০টির বেশি স্টল রয়েছে। ১ডিসেম্বর পর্যন্ত মেলা চলবে। ক্রেতাদের সচেতন করতে প্রতি বছরই ক্রেতা সুরক্ষা মেলার আয়োজন করা হয়। দপ্তরের মন্ত্রী বলেন, বহুজাতিক সংস্থাগুলি ই-কর্মাসের মাধ্যমে নানা পণ্য ও পরিষেবা ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে। লেনদেন ডিজিটাল মাধ্যমে হচ্ছে। কেউ এই মাধ্যমে প্রতারিত হলে কী করবেন তা নিয়ে দপ্তর মেলায় প্রচার করবে।
ক্রেতাসুরক্ষা দপ্তর জানিয়েছে, যে কোনও জিনিস কেনার পর রসিদ নেওয়া উচিত। মোড়কজাত খাবার কেনার সময় উৎপাদন ও মেয়াদের তারিখ দেখা উচিত। চিকিৎসার গাফিলতিতে মৃত্যু হলে উপভোক্তা সুরক্ষা আইনে অভিযোগ জানানো যেতে পারে। প্রাণিসম্পদ দপ্তরের মন্ত্রী এদিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে বলেন, বহু নার্সিংহোম গ্রাম থেকে আসা রোগীদের ঠকাচ্ছে। যাদের আইসিইউ দরকার নেই বিল বাড়ানোর জন্য সেসব রোগীদেরও সেখানে ঢোকানো হচ্ছে। মানুষ প্রতারিত হচ্ছে। এই বিষয়টি দপ্তরের আধিকারিকদের দেখতে বলব। এছাড়া অনেক বিক্রেতা মাংসের গুণমান ঠিক রাখেন না। বাড়িতে মাংস নিয়ে গিয়ে বহু ক্রেতা প্রতারিত হন। অনেক মিষ্টি বিক্রেতাও এমন কাণ্ড করেন। নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে মিষ্টি তৈরি করে তা বিক্রি হচ্ছে। স্বাস্থ্যের পক্ষে তা ক্ষতিকারক। এই বিষয়টিও দেখার জন্য বলব।
এদিনের অনুষ্ঠানে পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক আয়েশা রানি এ, পুলিস সুপার সায়ক দাস সহ অন্যান্য আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধনের দিনই মেলায় ক্রেতাদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। বিভিন্ন ধরনের সামগ্রী দিয়ে স্টল সাজানো হয়েছে। এছাড়া ক্রেতাদের সচতন করতেও বিভিন্ন সরকারি সংস্থার পক্ষ থেকে স্টল তৈরি করা হয়েছে। নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়। দপ্তরের দাবি, বহু ক্রেতা প্রতারিত হওয়ার পর অভিযোগ করেছেন। দপ্তর তাদের সুরাহা দিয়েছে। বিশেষ করে এখন ফ্ল্যাট কিনতে গিয়ে অনেকে সমস্যায় পড়েন। প্রোমোটাররা শর্ত মানেন না। উপভোক্তারা দপ্তরের সহযোগিতা নিলে পদক্ষেপ হবে। এছাড়া ডিজিটাল মাধ্যমে কেনাকাটা করতে গিয়ে সমস্যা বাড়ছে। সেক্ষেত্রেও দপ্তর ববস্থা নিচ্ছে।