চাকরিজীবীদের কর্মোন্নতি ও পদোন্নতির সঙ্গে বেতন বৃদ্ধির যোগ। যানবাহন চালনায় সতর্ক হন। ... বিশদ
বল্লভপুর অভয়ারণ্য সংলগ্ন খোয়াইয়ের সোনাঝুরির হাট পর্যকটদের অন্যতম আকর্ষণ। সেখানে ময়ূরাক্ষী সেচ খালের জল কুলকুল করে প্রভাবিত হচ্ছে। এছাড়া নির্মল প্রকৃতি, গাছের ছায়া, লালমাটির খোয়াই— সব মিলিয়ে এক মনোরম পরিবেশ। ফটোগ্রাফির জন্য আদর্শ। সেজন্য ঘুরতে এসে হোক বা প্রি ওয়েডিং ফটোশ্যুট, সারা বছরই ফটোগ্রাফাররা খোয়াই সংলগ্ন শালবন ও সোনাঝুরির জঙ্গলে ভিড় করেন। রাতের অন্ধকারেও কৃত্রিম আলো ব্যবহার করে চলে শ্যুটিং। এর ফলে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পাশাপাশি, জঙ্গলের ভিতরে বাইক ও অন্যান্য যানবাহন চলাচল করায় নির্বিচারে চারাগাছ নষ্ট হচ্ছে বলেও বনদপ্তরের অভিযোগ। একইভাবে, বিনা অনুমতিতে অনেকে ডকুমেন্টারি জন্য অভয়ারণ্যের আকাশে ড্রোন উড়িয়ে ছবি ও ভিডিও তুলছেন। এতে অভয়ারণ্যে বন্য জীবজন্তুর গতিবিধিতে প্রভাব পড়ছে। বিশেষত শীতকালে বল্লভপুর অভয়ারণ্যে দেশ বিদেশের নানা প্রান্ত থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে পরিযায়ী পাখিরা আসে। ড্রোন ওড়ানোর ফলে এই পাখিরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ছে। ফলে ফি বছর কমছে পরিযায়ী পাখির সংখ্যা। এই বিষয়গুলিতে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন ডিভিশনাল ফরেস্ট বিভাগ। সেজন্য সম্প্রতি অভয়ারণ্য ও সংরক্ষিত জঙ্গলে সব ধরনের ফটোগ্রাফি বন্ধ করা হয়েছে। পাহারার জন্য বন সহায়কদের রাখা হলেও মাঝে মাঝেই ফটোগ্রাফারদের সঙ্গে তাঁদের বচসা হচ্ছে বলে অভিযোগ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বন সহায়ক বলেন, একটা সময় পর্যন্ত শালবনে প্রতিদিন ছবি তোলা ফটোগ্রাফারদের কাছে সাধারণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছিল। ছবি তুলে চারাগাছ নষ্ট করার পাশাপাশি যত্রতত্র খাবার, আবর্জনা ও উচ্ছিষ্ট ফেলত। এমনকী, মদ্যপান করেও অনেকে কাঁচের বোতল ভেঙে চলে যেতেন। এই বিষয়গুলির জন্যই উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ উপযুক্ত ব্যবস্থা নিয়েছে। তবে সেই নির্দেশ পালন করতে গিয়ে আমাদের অনেকেই স্থানীয় ফটোগ্রাফারদের হেনস্থার শিকার হচ্ছেন। অনেকে ‘দেখে নেওয়ার’ হুঁশিয়ারিও দিচ্ছেন। আমরা বিষয়টি রেঞ্জ অফিসে জানিয়েছি। রেঞ্জ অফিসার জ্যোতিষ বর্মন বলেন, কর্তব্যরত বনকর্মীদের সঙ্গে অভদ্র আচরণ বন্যপ্রাণ আইনে শাস্তির বিধান রয়েছে। এই বিষয়গুলি ওই এলাকায় প্রচার করার জন্য খুব দ্রুত ব্যানার ও ফ্লেক্স টাঙিয়ে সকলকে সচেতন করা হবে।