চাকরিজীবীদের কর্মোন্নতি ও পদোন্নতির সঙ্গে বেতন বৃদ্ধির যোগ। যানবাহন চালনায় সতর্ক হন। ... বিশদ
বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন দিলীপবাবু সদস্য সংগ্রহ অভিযানের জন্য বর্ধমান এসেছিলেন। পরে সর্বমঙ্গলা মন্দিরে পুজো দেন। বর্ধমান সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি অভিজিৎ তা সহ অন্যান্য নেতারা তাঁর সঙ্গে ছিলেন। দিলীপবাবু দলের একাংশের ভূমিকায় অনেক আগে থেকেই ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন। এদিন তা ফের স্পষ্ট করেছেন। কর্মীদের অনেকেরই দাবি, তাঁকে হারানোর জন্য দলেরই অনেকে আদাজল খেয়ে ময়দানে নেমেছিলেন। সেটা তিনি ভোটের সময় টের পাননি। দেরিতে বুঝতে পারেন। তাঁকে সাংগঠনিক বিষয়ে বিভিন্ন সময় ভুল রিপোর্ট দেওয়া হয়। সেটা তিনি পরে জানতে পারেন। নেতৃত্বের একাংশের মতে, দিলীপবাবু লোকসভা নির্বাচনে জয়ী হলে বিরোধী গোষ্ঠীর অনেকেরই সমস্যা হতো। সংগঠনেও তাঁর কদর বেড়ে যেত। সেই কারণে তাঁকে হারানোর জন্য অন্তর্ঘাত চালানো হয়েছিল। বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি বলেন, পরাজয়ের কারণ পর্যালোচনা এখনও চলছে। বেশকিছু কারণ পাওয়া গিয়েছে। তারমধ্যে অন্তর্ঘাতও রয়েছে। আরও বেশকিছু বিষয় খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে।
দলীয় সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, পূর্ব বর্ধমান জেলায় সংগঠন দুর্বল থাকায় সদস্যপদ সংগ্রহের কাজও সেভাবে হয়নি। টার্গেট থেকে অনেক দূরে রয়েছে এই জেলা। অধিকাংশ নেতা-কর্মী নিষ্ক্রিয় হয়ে রয়েছেন। অনেকে দল পরিবর্তনও করেছেন। কেউ কেউ আবার সংগঠনের কাজ ছেড়ে ব্যবসা শুরু করেছেন। বহু বুথে তারা এখনও কমিটি গঠন করতে পারেনি। সেইসব বুথগুলিতে দল বহু পিছিয়ে রয়েছে। দলের জেলাস্তরের এক নেতা বলেন, জেলায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মেটাতে না পারলে সংগঠন কখনোই এগবে না। এক গোষ্ঠী সম্পূর্ণ নিষ্ক্রিয় হয়ে রয়েছে। তারা সংগঠনের কোনও কাজে যোগ দিচ্ছে না। তারা দায়িত্বে থাকা জেলাস্তরের নেতাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছে। লোকসভা নির্বাচনের আগে দিলীপবাবু দুই গোষ্ঠীকে নিয়ে চলার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তিনি সফল হননি। সামনেই বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। তার আগে দ্বন্দ্ব মেটাতে না পারলে সেই নির্বাচনেও দলের ভরাডুবি নিশ্চিত বলেই অনেকে মনে করছেন।