চাকরিজীবীদের কর্মোন্নতি ও পদোন্নতির সঙ্গে বেতন বৃদ্ধির যোগ। যানবাহন চালনায় সতর্ক হন। ... বিশদ
দাঁতন থানার ইতিহাসপ্রসিদ্ধ কাকরাজিত গ্রামে জেলার বৃহত্তম চৈতন্য মহাপ্রভু মন্দির তৈরি হয়েছে। বহুকাল ধরে এখানে মহাপ্রভুর কাঠের বিগ্রহ সাড়ম্বরে পূজিত হয়। প্রতি বছর কার্তিক পূর্ণিমায় কাকরাজিত মন্দির প্রাঙ্গণে সাড়ম্বরে রাস উৎসব আয়োজিত হয়। এবারও একাদশী থেকে পাঁচদিন খোল-করতাল সহ কীর্তনের মাধ্যমে চৈতন্য আরাধনা শুরু হয়েছে। আলোর রোশনাইয়ে সেজে উঠেছে গ্রামীণ মেলা। শুক্রবার রাসপূর্ণিমার পুজোর মাধ্যমে উৎসব শেষ হবে।
এখানে পুরনো মন্দিরের পাশেই নতুন বড় মন্দির তৈরি হয়েছে। বাংলার পাশাপাশি এই উৎসবে ওড়িশা সহ ভিনরাজ্য থেকে কয়েকহাজার ভক্ত এসেছেন। উৎসবে প্রতিদিন মন্দির প্রাঙ্গণে ভক্তদের জন্য ‘কুঁড়ি প্রসাদ’-এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। ভক্তরা কেউ সেই প্রসাদ বাড়ি নিয়ে যান, আবার অনেকে মন্দিরেই বসে খান। উৎসবের কয়েকদিন কয়েকহাজার দর্শনার্থীকে কুঁড়ি প্রসাদ দেওয়া হয়। এলাকার মানুষ কাকরাজিতের মহাপ্রভুকে জাগ্রত দেবতারূপে দেখেন। গ্রামে গ্রামে গৃহস্থের কল্যাণে মহোৎসবে মহাপ্রভুর বিগ্রহ নিয়ে যাওয়া হয়। শ্রদ্ধালুরা মানত করেন। বাতাসা ছড়ানো হয়, যা ‘হরির লুট’ নামে পরিচিত। দাঁতনের আঞ্চলিক ইতিহাস চর্চাকারী সন্তু জানা বলেন, এমনও শোনা যায়, চৈতন্যদেবের ফেলে যাওয়া দাঁতনকাঠি থেকেই এলাকার নাম দাঁতন হয়েছিল। তবে এবিষয়ে মতানৈক্য আছে।কাকরাজিত মহাপ্রভুর রাস উৎসব কমিটির কর্মকর্তা বামাপদ মিশ্র, বিমল গিরি, গণেশ চন্দরা জানালেন, কাকরাজিত মহাপ্রভু মন্দিরকে হেরিটেজ ঘোষণার দাবি রয়েছে। দাঁতনের বিধায়ক বিক্রমচন্দ্র প্রধানের মাধ্যমে আমরা রাজ্য সরকারের কাছে সেই দাবি জানিয়েছি। আশা করছি, রাজ্য সরকার এতে ইতিবাচক সাড়া দেবে। বিধায়ক বলেন, বিধানসভায় কাকরাজিত মন্দিরকে হেরিটেজ ঘোষণার দাবি জানিয়েছি। এই মন্দির ও দাঁতনের মোগলমারি, শরসঙ্কা দিঘি, মনোহরপুরের রাজবাড়ি সহ বিভিন্ন জায়গা নিয়ে পর্যটন হাব গড়ে তোলার পরিকল্পনা রাজ্য সরকারের রয়েছে। আশা করছি, তাড়াতাড়ি সেই কাজ হবে।-নিজস্ব চিত্র