চাকরিজীবীদের কর্মোন্নতি ও পদোন্নতির সঙ্গে বেতন বৃদ্ধির যোগ। যানবাহন চালনায় সতর্ক হন। ... বিশদ
সংবাদদাতা, নবদ্বীপ: প্রথা মেনে রাসপূর্ণিমায় সরষে ইলিশ ভোগ দেওয়া হয় নবদ্বীপের ওলাদেবীতলার মুক্তকেশী মাতাকে। ঐতিহ্যবাহী রাস উৎসবে বৃহস্পতিবার গভীর রাতেই দেবীর পুজো সম্পন্ন হবে।
দক্ষিণাকালীর ধ্যানরূপে এই দেবীর পুজো হয়ে আসছে। ২৩ফুট উঁচু চতুর্ভুজা দেবীর এক হাতে খড়্গ, এক হাতে মুণ্ডমালা, এক হাতে কদমা ও এক হাতে বরাভয় মুদ্রা দেখা যায়। দেবীর পদতলে থাকেন মহাদেব। সম্পূর্ণ ডাকের সাজে সুসজ্জিতা দেবীর পুজো হয়।
এলাকার বাসিন্দারা জানান, শ্রীশ্রী মুক্তকেশী মাতার পুজো প্রায় ২০০বছরের প্রাচীন। স্থানীয় ব্রাহ্মণরা এই পুজোর সূচনা করেছিলেন। এখন এলাকার মানুষের উদ্যোগে ওলাদেবীতলা বাজারে নিজস্ব জায়গায় মুক্তকেশী মাতার পুজো হয়। এখানে দেবীর বেদীতে প্রতিদিন ফুল, গঙ্গাজল নিবেদন করেন এলাকার বাসিন্দারা। আগামী দিনে এখানেই মুক্তেকেশী মাতার মন্দির তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে বলে পুজো উদ্যোক্তারা জানালেন।
দেবীকে খিচুড়ি, পঞ্চব্যঞ্জন, পাঁচরকম ভাজা, পরমান্ন ভোগ তো দেওয়া হয়ই, সেইসঙ্গে দেওয়া হয় সরষে ইলিশ। প্রথা মেনে দেবীর কাছে চালকুমড়ো, আখ ও কলা বলি দেওয়া হয়। পুজোর পর ভক্তদের পাত পেড়ে প্রসাদ খাওয়ার ব্যবস্থা থাকে। বৃহস্পতিবার রাতে পুজোর পর শুক্রবার দুপুরেও দেবীকে ভোগ নিবেদন করা হবে।
শনিবার সন্ধ্যায় রাসের বিভিন্ন প্রতিমা আলোকসজ্জায় সাজিয়ে আড়ং হবে। অন্যবছর মুক্তকেশী মাতার প্রতিমাও সেই শোভাযাত্রায় বের করা হতো। তবে এবারই প্রথম প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে দিনেরবেলায় মুক্তকেশী মাতার শোভাযাত্রা বের হবে। মণ্ডপ থেকে লোহার বল বিয়ারিং লাগানো গাড়িতে মুক্তকেশী মাতাকে নিয়ে শহর পরিক্রমা করা হবে। ঢাক, তাসা প্রভৃতি বাদ্যযন্ত্র নিয়ে এই শোভাযাত্রায় হরিনাম সংকীর্তনের দল, আদিবাসী নৃত্য থাকবে।
পুজো কমিটির সভাপতি সুব্রত দাস বলেন, দেবী খুব জাগ্রত। তাঁর কাছে যে যা মানত করেন, তা পূরণ হয়। সেজন্য প্রতি বছর নিশিরাতে পুজোর সময় অনেকেই অঞ্জলি দেন। ওলাদেবীতলা বাজার কমিটি ও এলাকার মানুষের আর্থিক সহযোগিতায় পুজো হয়।
ওলাদেবীতলার বাসিন্দা বছর সত্তরের পুরোহিত মদনমোহন গোস্বামী বলেন, ৪০বছর ধরে দেবী মুক্তকেশীর পুজো করে আসছি। এর আগে আমার পূর্বপুরুষরা এই দেবীর পুজো করতেন। মুক্তকেশী মাতা প্রায় ২০০ বছরের প্রাচীন। স্থানীয় কাউন্সিলার তথা ওলাদেবীতলা বাজার কমিটির সম্পাদক বৃন্দাবন মণ্ডল বলেন, এলাকার বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের দাবি মেনে এখানে মুক্তকেশী মন্দির তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। তার প্রস্তুতি চলছে।
দক্ষিণাকালীর ধ্যানরূপে এই দেবীর পুজো হয়ে আসছে। ২৩ফুট উঁচু চতুর্ভুজা দেবীর এক হাতে খড়্গ, এক হাতে মুণ্ডমালা, এক হাতে কদমা ও এক হাতে বরাভয় মুদ্রা দেখা যায়। দেবীর পদতলে থাকেন মহাদেব। সম্পূর্ণ ডাকের সাজে সুসজ্জিতা দেবীর পুজো হয়।
এলাকার বাসিন্দারা জানান, শ্রীশ্রী মুক্তকেশী মাতার পুজো প্রায় ২০০বছরের প্রাচীন। স্থানীয় ব্রাহ্মণরা এই পুজোর সূচনা করেছিলেন। এখন এলাকার মানুষের উদ্যোগে ওলাদেবীতলা বাজারে নিজস্ব জায়গায় মুক্তকেশী মাতার পুজো হয়। এখানে দেবীর বেদীতে প্রতিদিন ফুল, গঙ্গাজল নিবেদন করেন এলাকার বাসিন্দারা। আগামী দিনে এখানেই মুক্তেকেশী মাতার মন্দির তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে বলে পুজো উদ্যোক্তারা জানালেন।
দেবীকে খিচুড়ি, পঞ্চব্যঞ্জন, পাঁচরকম ভাজা, পরমান্ন ভোগ তো দেওয়া হয়ই, সেইসঙ্গে দেওয়া হয় সরষে ইলিশ। প্রথা মেনে দেবীর কাছে চালকুমড়ো, আখ ও কলা বলি দেওয়া হয়। পুজোর পর ভক্তদের পাত পেড়ে প্রসাদ খাওয়ার ব্যবস্থা থাকে। বৃহস্পতিবার রাতে পুজোর পর শুক্রবার দুপুরেও দেবীকে ভোগ নিবেদন করা হবে।
শনিবার সন্ধ্যায় রাসের বিভিন্ন প্রতিমা আলোকসজ্জায় সাজিয়ে আড়ং হবে। অন্যবছর মুক্তকেশী মাতার প্রতিমাও সেই শোভাযাত্রায় বের করা হতো। তবে এবারই প্রথম প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে দিনেরবেলায় মুক্তকেশী মাতার শোভাযাত্রা বের হবে। মণ্ডপ থেকে লোহার বল বিয়ারিং লাগানো গাড়িতে মুক্তকেশী মাতাকে নিয়ে শহর পরিক্রমা করা হবে। ঢাক, তাসা প্রভৃতি বাদ্যযন্ত্র নিয়ে এই শোভাযাত্রায় হরিনাম সংকীর্তনের দল, আদিবাসী নৃত্য থাকবে।
পুজো কমিটির সভাপতি সুব্রত দাস বলেন, দেবী খুব জাগ্রত। তাঁর কাছে যে যা মানত করেন, তা পূরণ হয়। সেজন্য প্রতি বছর নিশিরাতে পুজোর সময় অনেকেই অঞ্জলি দেন। ওলাদেবীতলা বাজার কমিটি ও এলাকার মানুষের আর্থিক সহযোগিতায় পুজো হয়।
ওলাদেবীতলার বাসিন্দা বছর সত্তরের পুরোহিত মদনমোহন গোস্বামী বলেন, ৪০বছর ধরে দেবী মুক্তকেশীর পুজো করে আসছি। এর আগে আমার পূর্বপুরুষরা এই দেবীর পুজো করতেন। মুক্তকেশী মাতা প্রায় ২০০ বছরের প্রাচীন। স্থানীয় কাউন্সিলার তথা ওলাদেবীতলা বাজার কমিটির সম্পাদক বৃন্দাবন মণ্ডল বলেন, এলাকার বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের দাবি মেনে এখানে মুক্তকেশী মন্দির তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। তার প্রস্তুতি চলছে।
