চাকরিজীবীদের কর্মোন্নতি ও পদোন্নতির সঙ্গে বেতন বৃদ্ধির যোগ। যানবাহন চালনায় সতর্ক হন। ... বিশদ
সেই টাকা ফেরানোর জন্য বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষকদের রীতিমতো ‘চাপ’ দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। অনেকে খরচও করে ফেলেছে। যার ফলে সেই টাকা পুনরায় কী করে ট্রেজারিতে ফিরবে, তা নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। বৃহস্পতিবারও জেলা প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে জেলার বেশ কিছু ব্যাঙ্কের কর্মকর্তাদের বৈঠক হয়। এখনও কত সংখ্যক পড়ুয়ার অ্যাকাউন্টে যাওয়া অতিরিক্ত টাকা আছে, সে ব্যাপারে কোনও স্পষ্ট তথ্য দিতে পারেনি ব্যাঙ্কগুলি। প্রতিটি অ্যাকাউন্ট নম্বর ধরে স্ট্যাটাস খতিয়ে দেখতে সময় লাগছে। তাই আদৌ কত টাকা ফিরবে, তা নিয়েই উদ্বেগ বাড়ছে। এনিয়ে অবশ্য ডিআইয়ের কাছে জানতে চাওয়া হলেও তিনি সংবাদমাধ্যমে কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি।
এদিকে অতিরিক্ত টাকা যেমন অনেকের অ্যাকাউন্টে গিয়েছে, তেমনই ৩৩১২ জন পড়ুয়া এখনও ট্যাবের টাকা পায়নি। এই পরিস্থিতিতে মুর্শিদাবাদ জেলার বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠন ট্যাব কেলেঙ্কারিতে যুক্ত প্রত্যেকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে এবিটিএ’র তরফে জেলা শিক্ষা ভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখানো হয়। তাদের দাবি, এই ট্যাব কেলেঙ্কারিতে সর্ষের মধ্যেই ভূত রয়েছে। সেই ভূত খুঁজে অবিলম্বে বের করতে হবে। শিক্ষা বহির্ভূত কাজের চাপ আমাদের কমাতে হবে। পোর্টালের পাসওয়ার্ড কী করে লিক হচ্ছে, সেটার তদন্ত প্রায়োজন। অকারণে প্রধান শিক্ষকদের হেনস্তা করা যাবে না।
এবিটিএ মুর্শিদাবাদ জেলা সভাপতি তথা কাশিমনগর হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মহম্মদ জুলফিকার আলি বলেন, প্রধান শিক্ষক শিক্ষিকাদের হেনস্তা করা চলবে না। ‘তরুণের স্বপ্ন’ আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে। আমরা মনে করছি, বিদ্যালয়গুলি থেকে যখন লিস্ট ফাইনাল করা হয়, তখন অনেক দেখেশুনে করা হয়। এই ট্যাব নিয়ে এবার যে বিশাল কেলেঙ্কারি হয়েছে সেটা দেখা উচিত। অশুভ একটা শক্তি কাজ করছে। শিক্ষাদপ্তরের কেলেঙ্কারি ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করছে। যে পড়ুয়ারা ট্যাবের কেলেঙ্কারির জন্য টাকা পায়নি, তাদের অবিলম্বে টাকা দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।
দেবকুণ্ডুর শেখ আব্দুল রাজ্জাক মেমোরিয়াল গার্লস হাই মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষিকা মুর্শিদা খাতুন বলেন, স্কুল ও মাদ্রাসার একসঙ্গে উচ্চ শিক্ষা দপ্তরের অধীনে। কিন্তু, আমাদের প্রথমে বাংলা শিক্ষা পোর্টালে নাম এন্ট্রি করতে দেওয়া হয়নি। এসআই এবং ডিআইরা বারবার আমাদের বিভ্রান্ত করেছে। পরে বাংলা শিক্ষা পোর্টালের মাধ্যমে তালিকা জমা দিলাম। কিন্তু, কোনও মাদ্রাসার পড়ুয়াদের টাকা ঢোকেনি। কী কারণে এমনটা হল কারও কাছে কোনও উত্তর নেই। এত কিছুর পরেও জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক মুখে আঙুল দিয়ে বসে আছেন।