চাকরিজীবীদের কর্মোন্নতি ও পদোন্নতির সঙ্গে বেতন বৃদ্ধির যোগ। যানবাহন চালনায় সতর্ক হন। ... বিশদ
লোকপুরের থান্ডারপাড়াতে সাতদিনের ব্যবধানে দু’জন গ্রামবাসী ডায়ারিয়াতে মারা গিয়েছেন। অসুস্থ হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন। গ্রামে যাকে বলে কান্নার রোল উঠেছে। ইতিমধ্যেই ৫ জন গ্রামবাসীর চিকিৎসা চলছে সিউড়ি সদর হাসপাতালে। বৃহস্পতিবার আরও ২ জনের অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গ্রামে এখনও কমবেশি ১২ থেকে ১৪ জনের বমি, পায়খানা হচ্ছে। এই পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন জেলার স্বাস্থ্যবিভাগ। এদিন বীরভূম স্বাস্থ্য জেলার সিএমওএইচ হিমাদ্রি আড়ি, খয়রাশোলের বিডিও সৌমেন্দু গঙ্গোপাধ্যায়, ওসি পার্থ ঘোষ সহ অন্যান্য সরকারি আধিকারিকরা লোকপুর গ্রামে হাজির হন। তাঁরা গ্রামবাসীদের মনোবল বৃদ্ধির চেষ্টা করেন। সিএমওএইচ গ্রামবাসীদের বাড়ির উঠোনে বসে তাঁদের নানাভাবে বোঝাতে থাকেন। তিনি গ্রামবাসীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমরা সবাই উদ্বেগে রয়েছি। আপনার দয়া করে অসুস্থতা নিয়ে বাড়িতে বসে থাকবেন না। অসুবিধা বুঝলেই হাসপাতালে পৌঁছন। খাওয়া দাওয়া কী করছেন, তা দেখতে হবে। যে ওষুধগুলি আশা দিদিমণিরা দিচ্ছেন, সেগুলো খাবেন। আশা করি, আর কোনও দুর্ঘটনা ঘটবে না। যদিও এদিন সকালে বেশ কয়েকজন গ্রামবাসী অসুস্থ হওয়ায় আতঙ্ক যেন কিছুতেই কাটছে না। সকলের চোখে, মুখেই ভয়ের ছাপ স্পষ্ট। পঞ্চায়েত থেকে দেওয়া জলের ট্যাঙ্কের জল খাচ্ছেন লোকজন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রোগীদের বমি, পায়খানার সঙ্গে খিঁচুনির উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। ঠিক কোথা থেকে এই সংক্রমণটা হল, তা গ্রামবাসীদের কাছে এখনও অস্পষ্ট। যদিও গ্রামের মধ্যিখানে থাকা পুকুরটির পাড় লাল ফিতে দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে। জলে যাতে কেউ না নামেন, তার জন্য গ্রামে মাইকিং করা হচ্ছে। কিছু দেওয়ালে পোস্টারও সাঁটানো হয়েছে। তবে পরিস্থিতি আগের দিনের থেকে ভালো বলেই দাবি আধিকারিকদের। বিডিও বলেন, গোটা গ্রামেই ব্লিচিং ছড়ানো হয়েছে। চারদিক পরিষ্কার, পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে। জলের নমুনাও পিএইচই বিভাগকে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। ওই পুকুরটিতে বাসন মাজা, কাচাকাচি করা হতো। সেই জল ব্যবহার করতে বারণ করা হয়েছে। পুকুরটি সংস্কার ও জীবাণুমুক্ত করার কাজ শুরু হবে।