চাকরিজীবীদের কর্মোন্নতি ও পদোন্নতির সঙ্গে বেতন বৃদ্ধির যোগ। যানবাহন চালনায় সতর্ক হন। ... বিশদ
বুধবার রাতে ডিএসপি(ডিইবি) স্বপনকুমার চক্রবর্তীর নেতৃত্বে দুবরাজপুর-ইলামবাজার রাস্তায় অভিযান চলে। ১৪নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে রাতের অন্ধকারে বালিবোঝাই ট্রাক্টর, ডাম্পারের চালান খতিয়ে দেখে পুলিস। গোপালপুরের কাছে একটি ওভারলোডের বালিবোঝাই ট্রাক্টর আটক করা হয়। সেটি লোবার ঘাট থেকে বালিবোঝাই করেছিল। তখনও বালি থেকে জল ঝরছিল। কিন্তু তাদের সঙ্গে কোনও ই-চালান ছিল না। খানিকটা এগিয়ে আরেকটি ট্রাক্টর আটক করা হয়। সেটি জয়দেব ঘাট থেকে বালি নিয়ে ইলামবাজারের দিকে যাচ্ছিল। সেটিরও কোনও ই-চালান ছিল না। পরে আরও দু’টি বালিবোঝাই ডাম্পার আটক করা হয়। বালিঘাটগুলিতে যে ই-চালান ব্যবহার করা হচ্ছে তা বর্ধমানের কেতুগ্রামের। অন্য জেলার চালান ব্যবহার করে বীরভূমে বালি তোলা হচ্ছে। যা সম্পূর্ণ বেআইনি বলেই দাবি পুলিস আধিকারিকদের।
দুবরাজপুর ব্লকের লোবাতে ব্যাপকভাবে বালি তোলা চলছে। এলাকায় গিয়ে দেখা গেল, ট্রাক্টর, লরি, ডাম্পারে লোড হয়ে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে চলে যাচ্ছে বালি। নদী থেকে রাস্তায় উঠে গেলেই তা বৈধ স্টক পয়েন্টের বালি বলে দাবি করা হচ্ছে। কিন্তু কাদের মদতে চলছে বালি কারবার? স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এলাকার প্রভাবশালীরাই এই ব্যবসার পিছনে রয়েছে। তাদের হাতেই এলাকার রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। আরও শোনা গেল, জেলাস্তরের প্রভাবশালী ও প্রশাসনিক আধিকারিকদের একাংশ এই সিন্ডিকেটে যুক্ত রয়েছেন। ফলে মাথার উপর তাঁদের ‘হাত’ থাকায় জেলার অন্যান্য জায়গায় বেআইনি বালি কারবার বন্ধ হলেও লোবা ব্যতিক্রম থেকে গিয়েছে।
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, সারা বছর ধরেই বালি তোলা চলে। বৈধ চালান আছে বলেই দাবি করা হয়। কিন্তু এখন গোটা জেলায় নদী থেকে বালি তোলা বন্ধ রয়েছে। তা সত্ত্বেও এখানে বালি উঠছে কীভাবে? স্টকপয়েন্টের বালির নামে নদী ফাঁকা করে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু কেউ কিছুই ব্যবস্থা নেয় না। ক’দিন আগে লোকাল থানা একবার অভিযান চালিয়ে কয়েকটি ট্রাক্টর ধরেছিল। কিন্তু আবারও একই অবস্থা। ডিএসপি(ডিইবি) বলেন, বেআইনি বালি তোলার খবর আমাদের কাছেও আছে। পুলিস সুপারের নির্দেশমতো সারপ্রাইজ ভিজিট চালাচ্ছি। বেশ কয়েকটি গাড়ি ধরা হয়েছে। আগামী দিনেও অভিযান জারি থাকবে। জেলা ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, বেশকিছু অভিযোগ পেয়েছি। ব্যবস্থা নেওয়া হবে।