চাকরিজীবীদের কর্মোন্নতি ও পদোন্নতির সঙ্গে বেতন বৃদ্ধির যোগ। যানবাহন চালনায় সতর্ক হন। ... বিশদ
এই চুক্তির পর নবনীত বলেন, “লুমাসের সঙ্গে পেট্রোকেমিক্যালসের যৌথ উদ্যোগের ফলে উৎপাদন ক্ষমতা আরও বৃদ্ধি পাবে। এই প্রকল্প আগামীতে ভারতের ক্রমবর্ধমান ফেনল ও অ্যাসিটোনের চাহিদা মেটাবে। উৎপাদন ক্ষমতা বাড়িয়ে ৩ লক্ষ ৪৫ হাজার টন করার ফলে দেশের রাসায়নিক ও তার সহযোগী শিল্পকে গুণমান সমৃদ্ধ ফেনল সরবরাহের ক্ষেত্রে পেট্রোকেমিক্যালের অঙ্গীকার আরও শক্তিশালী হবে।”
চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি হলদিয়া পেট্রোকেমিক্যালসের নয়া ফেনল প্রকল্পের নির্মাণ কাজের আনুষ্ঠানিক সূচনা হয়েছে। নির্মাণ কাজে কয়েক হাজার শ্রমিক কাজ করছেন। দেশের বৃহত্তম ফেনল প্ল্যান্ট গড়ছে হলদিয়ায় পেট্রোকেমিক্যাল। ২০২৬ সালের মার্চের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষের লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে। পেট্রোকেমিক্যালের নতুন লগ্নির সঙ্গে বিপুল কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হয়েছে শিল্পাঞ্চলে। গত বছর নভেম্বর মাসে পেট্রোকেমিক্যাল বিজ্ঞপ্তি দিয়ে নয়া প্রকল্পের জন্য একসঙ্গে দু’'হাজারেরও বেশি ঠিকা কর্মী নিয়োগ করেছে।
হলদিয়া পেট্রোকেমিক্যাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এখন তারা বছরে শুধু কেমিকেলস বিক্রি করে ৩ হাজার ২৬০ কোটি টাকার। নয়া ফেনল প্রকল্প উৎপাদন শুরু করলে স্পেশ্যালিটি কেমিকেল উৎপাদনে দেশের এক নম্বর জায়গা দখল নেবে হলদিয়া পেট্রোকেমিক্যালস। এর ফলে রাজ্যে নতুন করে আরও ক্ষুদ্র শিল্প তৈরি হবে। দেশে নির্মাণ শিল্প, ওষুধ শিল্পের কাঁচামালের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায়, ফেনলের মতো স্পেশ্যালিটি কেমিকেলে বড়সড় লগ্নি করছে তারা। রাসায়নিক শিল্পের কাঁচামাল ছাড়াও পলিকার্বোনেট, বেকেলাইট, নাইলন, ডিটারজেন্ট এবং ফার্মাসিউটিক্যাল শিল্পের কাঁচামাল হল ফেনল।