চাকরিজীবীদের কর্মোন্নতি ও পদোন্নতির সঙ্গে বেতন বৃদ্ধির যোগ। যানবাহন চালনায় সতর্ক হন। ... বিশদ
জানা গিয়েছে, দু’দিন আগে ওই স্কুলের সপ্তম শ্রেণির কয়েকজন ছাত্র নিজেদের ক্লাসের ছাত্রীদের আর জি করের মতো ঘটনা ঘটানোর হুমকি দেয়। ছাত্রীরা বাড়িতে গিয়ে ওই হুমকির কথা অভিভাবকদের জানায়। তাদের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়। মেয়েদের স্কুলে পাঠানো বন্ধ রাখেন। মঙ্গলবার চার-পাঁচজন ছাত্রীর বাবা স্কুলে হাজির হন। সেখানে হুমকি দেওয়ায় জড়িত সন্দেহে দু’জন ছাত্রকে ডেকে পাঠানো হয়। স্কুল কর্তৃপক্ষ ওই ছাত্রদের ভর্ৎসনা করে। অভিভাবকরা স্কুলের মধ্যে তাদের মারধরও করে। তারপর বুধবার আবারও কয়েকজন ছাত্রীর বাবা স্কুলে হাজির হন। তাঁদের বক্তব্য, হুমকি দেওয়ার ঘটনায় আরও দুই ছাত্র জড়িত। তাদের স্কুলে আনতে হবে। তা না হলে ক্লাস চালাতে দেওয়া হবে না।
ওই স্কুলে মাত্র দু’জন শিক্ষক। ঘটনার সময় টিআইসি ছিলেন না। সহ শিক্ষক সুব্রতবাবু অভিভাবকদের জানান, টিআইসি এসআই অফিসে গিয়েছেন। তিনি ফেরার পর এনিয়ে কথাবার্তা হবে। যদিও সহশিক্ষকের ওই কথা কর্ণপাত করেননি অভিভাবকরা। তাঁদের পাল্টা অভিযোগ, কর্তৃপক্ষ ওই ঘটনাকে আড়াল করতে চাইছে। এরপরই ওই অভিভাবকরা সুব্রতবাবুকে ক্লাসরুমের মধ্যেই মারধর করেন। জুনিয়র হাইস্কুল লাগোয়া ডালপাড়া প্রাইমারি স্কুল। সুব্রত তুঙ্গের উপর হামলা হতেই ওই প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষকরা ছুটে এসে তাঁকে রক্ষা করেন। খবর পেয়ে টিআইসি দ্রুত এসআই অফিস থেকে স্কুলে ফেরেন।
টিচার ইন-চার্জ পলাশ সাহু বলেন, সপ্তম শ্রেণিতে ছাত্রীদের হুমকি নিয়ে ঝামেলার সূত্রপাত। মঙ্গলবার একপ্রস্থ স্কুলে মিটিং হয়েছে। দু’জন ছাত্রকে তিরস্কার করা হয়। অভিভাবকরা তাদের মারধরও করে। বুধবার আবারও কয়েকজন ছাত্রীর বাবা স্কুলে এসে আরও দু’জন ছাত্র জড়িত বলে দাবি করেন। তাদের স্কুলে আনার চাপ দেওয়া হয়। তারপরই সুব্রতবাবুর উপর হামলা চলে। ঘটনার সময় আমি এসআই অফিসে গিয়েছিলাম। খবর পেয়ে স্কুলে ফিরি।-নিজস্ব চিত্র