ধর্মকর্মে সঞ্চীয় অংশগ্রহণে মানসিক তৃপ্তি ও সামাজিক সুনাম। পেশাদার শিল্পীদের শুভ সময়। ... বিশদ
গত ২০২২সালে তৎকালীন রেলমন্ত্রীর উদ্যোগে কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে এবং স্থানীয় হস্তশিল্পীদের বানানো বিভিন্ন সামগ্রী রেলযাত্রীদের মধ্যে বিক্রির জন্য এই প্রকল্পের সূচনা করা হয়েছিল। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বীরভূমের বিভিন্ন স্টেশনে এই ধরনের একটি করে স্টল তৈরি করা হয়। সেখানে স্থানীয় হস্তশিল্পীদের সৃষ্টিকর্ম বিক্রির ব্যবস্থা করা হয়। এতে স্থানীয় শিল্পের যেমন প্রসার ঘটত। তেমনি চাঙ্গা হতো অর্থনীতি। সেই লক্ষ্যে এই স্টলগুলি চালু করা হলেও বর্তমানে রামপুরহাট, নলহাটি সহ একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনগুলিতে স্টলগুলি বন্ধ হতে বসেছে।
সাঁইথিয়া স্টেশনের হকার এবং নিত্যযাত্রীদের তরফ থেকে জানা গিয়েছে, এই স্টলগুলিতে হস্তশিল্পের বিভিন্ন সামগ্রী বিক্রি হচ্ছিল। যার মূল্য অনেক বেশি রাখা হচ্ছিল। ট্রেনের নিত্যযাত্রীরা প্লাটফর্মে অপেক্ষারত অবস্থায় স্টলে ঘুরেফিরে দেখছিলেন অনেকেই। কিন্তু বিকিকিনি সেই অর্থে লাভজনক হচ্ছিল না বলে অভিযোগ। যদিও রেল কর্তৃপক্ষের দাবি, এই স্টলগুলি চালাতে প্রতিমাসে লীজ রিনিউয়াল করতে হয়। নতুন কেউ লিজ এখনও না নেওয়ার কারণে আপাতত স্টলটি বন্ধ আছে।
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, স্থানীয় শিল্পীরা পরিচয়পত্র দেখালে এক মাসের জন্য স্টল ভাড়া নেওয়ার সুযোগ পান। তারজন্য রেলকে দিতে হয় মাত্র ২০০০টাকা। এছাড়া অগ্রিম কোনও অর্থ বা ভাড়া আর দিতে হয় না। এর পরিবর্তে রেলের তরফে প্রতি মাসে ৪০ইউনিট অবধি বিদ্যুৎ নিখরচায় দেওয়া হয়। সাঁইথিয়া রেলের স্টেশন ম্যানেজার পুলক রায় বলেন, স্থানীয় হস্তশিল্পীদের উৎসাহ এবং রুজি রোজগারের ব্যবস্থা করার জন্য এই স্টলগুলি করা হয়েছে। এগুলি প্রতিমাসে লিজ রিনিউয়াল করতে হয়। এই মাসে কেউ লিজ নিয়েছে কিনা তা আমার জানা নেই। আগে যিনি লিজ নিয়েছিলেন তার লিজ হয়তো শেষ হয়েছে। এই লিজ নেওয়ার বিষয়টি হাওড়া থেকেই দেখা হয়। তাই কী কারণে সেটা বন্ধ হয়েছে আমার জানা নেই।