ধর্মকর্মে সঞ্চীয় অংশগ্রহণে মানসিক তৃপ্তি ও সামাজিক সুনাম। পেশাদার শিল্পীদের শুভ সময়। ... বিশদ
সূচনালগ্নে বিশ্বভারতী আর্থিকভাবে সচ্ছল ছিল না। সেজন্য ছাত্রছাত্রীদের বিপদ-আপদে পাশে দাঁড়ানোর জন্য রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সময় থেকেই সেবা বিভাগ খোলা হয়েছিল। মূলত দুঃস্থ পড়ুয়াদের বিভিন্ন জরুরি পরিষেবা দেওয়ার জন্য এই বিভাগের সূচনা। সুদীর্ঘকাল ধরে বিশ্বভারতীর বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও অনুদানের মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করে আসছে সেবা বিভাগের সদস্যরা। কলাভবনের নন্দন মেলা, গৌরপ্রাঙ্গণে আনন্দবাজার প্রভৃতি উৎসবের মাধ্যমে লভ্যাংশ সেবা বিভাগের হাতে তুলে দেন বিশ্বভারতীর পড়ুয়ারা। এভাবেই আনন্দ উদযাপনের পাশাপাশি সেবামূলক কাজেও ব্রতী হয়ে ওঠে বিশ্বভারতীর পড়ুয়ারা। সেই সেবামূলক কাজের উদ্দেশ্যে আনন্দবাজার এখন কার্যত উৎসবে পরিণত হয়েছে।
পাঠভবন থেকে শিক্ষাসত্র, সঙ্গীত ভবন থেকে কলা ভবন কিংবা শিক্ষাভবন থেকে ভাষা ভবন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি বিভাগের পড়ুয়ারা প্রত্যক্ষভাবে এই মেলায় অংশগ্রহণ করেন। যার অন্যথা হয়নি এবছরও। নানা ধরনের সুস্বাদু খাদ্য থেকে শুরু করে হস্তশিল্প সামগ্রী প্রভৃতি বিক্রি করে এ বছর ২লক্ষ ৩৬ হাজার টাকা উপার্জন হয়েছে বলে জানিয়েছেন সেবা শাখার অন্যতম সম্পাদক ভ্রমর ভাণ্ডারী। তার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগ ২৬হাজার ২১৭টাকা ও ভাষা ভবনের পড়ুয়ারা ২১হাজার ৯৬২টাকা আয় করে নজর কেড়েছে। -নিজস্ব চিত্র