ধর্মকর্মে সঞ্চীয় অংশগ্রহণে মানসিক তৃপ্তি ও সামাজিক সুনাম। পেশাদার শিল্পীদের শুভ সময়। ... বিশদ
কোলাঘাট ব্লকের ভোগপুর এবং দেড়িয়াচক গ্রাম পঞ্চায়েতের বেশিরভাগ গ্রাম এখনও জলমগ্ন। এছাড়া, সাগরবাড় এবং সিদ্ধা-১গ্রাম পঞ্চায়েতের আংশিক এলাকাও জলমগ্ন। পাঁশকুড়া ব্লকের খণ্ডখোলা, রঘুনাথবাড়ি এবং প্রতাপপুর-১পঞ্চায়েতের ১৫টি গ্রাম জলমগ্ন। ৫অক্টোবরের ভারী বৃষ্টিতে সার্বিক পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। শহিদ মাতঙ্গিনী বিডিও অফিস জলের তলায়। অফিসের ভিতরে হাঁটুসমান জল। বিডিও অফিসের সামনে মেচদা-হলদিয়া রাজ্য সড়কের উপর অনেক জল। রাস্তার উপর জল থাকায় ওই জায়গায় ধীর গতিতে যান চলাচল করছে।
কোলাঘাট, পাঁশকুড়া এবং শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকার নিকাশি নির্ভর করে সোয়াদিঘি খালের উপর। ২২কিলোমিটার এই খাল ১০বছরেও সংস্কার হয়নি। যেকারণে খালের মধ্যে নলবন, কচুরিপানা এবং আগাছা ঢেকে গিয়েছে। খালপাড় দখল করে যথেচ্ছ দোকানঘর, বসতবাড়ি তৈরি হয়েছে। খালপাড় দখল করে ভেড়িও গড়ে উঠেছে। যেকারণে সোয়াদিঘি জলধারণ ক্ষমতা হারিয়েছে। তাই ভোগপুর, নারায়ণপাকুড়িয়া, দেড়িয়াচক সহ বিভিন্ন প্লাবিত মৌজার জল সোয়াদিঘি হয়ে রূপনারায়ণে পড়ছে না। এই অবস্থায় জরুরিভিত্তিতে জেসিবি নামিয়ে খাল পরিষ্কার করে জল নিকাশিতে জোর দেওয়া হচ্ছে। টানা পাঁচদিন ১০টি করে জেসিবি দিয়ে পরিষ্কার করার নির্দেশ দিয়েছেন জেলাশাসক। এদিন সেচদপ্তরের তমলুকের দায়িত্বপ্রাপ্ত এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারকে ওই কাজের দায়িত্ব দেন জেলাশাসক। ভোগপুর কেনারাম মেমোরিয়াল হাইস্কুলে আশ্রয় নেওয়া ভোগপুরের তাপসী দাস, অঞ্জনা ঢুলি, কামিনাচকের সনকা সামন্ত বলেন, পুজোতেও আমাদের বাড়ি ফিরে যাওয়ার সুযোগ নেই। বাড়িতে এখনও হাঁটুসমান জল। জানি না, ছেলেমেয়েদের নিয়ে কবে বাড়ি ফিরব। ওই স্কুলের শিক্ষক নবেন্দু ঘড়া বলেন, ভোগপুর, কোদালিয়া, কিশোরচক, নামালবাড়, নারায়ণপাকুড়িয়া, নন্দাইগাজন এখনও পুরোপুরি জলমগ্ন। ভোগপুর-চাঁইপুর রাস্তায় এক থেকে দু’ফুট পর্যন্ত জল। মানুষজনের ভোগান্তির শেষ নেই। সোয়াদিঘি খাল সংস্কার না হওয়ায় এই দুর্ভোগ। জেলাশাসক বলেন, নিকাশি সমস্যার কারণে এখনও বেশকিছু গ্রামে জল জমে রয়েছে। এই সমস্যা সমাধানে সোয়াদিঘি খালে টানা পাঁচদিন ১০টি জেসিবি নামিয়ে কাজ হবে। পাশাপাশি শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকে জমা জল বের করতে কৃষি-সেচদপ্তরকে পাম্প চালাতে বলা হয়েছে। পুজোর সময় মানুষের ভোগান্তি কমানোর যা যা করার প্রশাসন সবটাই করবে। পরিদর্শনে জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজী।-নিজস্ব চিত্র