ধর্মকর্মে সঞ্চীয় অংশগ্রহণে মানসিক তৃপ্তি ও সামাজিক সুনাম। পেশাদার শিল্পীদের শুভ সময়। ... বিশদ
ডাকাতের হাতে আহত নিরাপত্তারক্ষীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, তিলাবনি কোলিয়ারিটি ইসিএল কর্তৃপক্ষ কয়েক মাস আগে কয়লা উত্তোলনের জন্য একটি বেসরকারি সংস্থাকে বরাদ্দ দিয়েছে। সেখানকার অধিকাংশ ইসিএল কর্মীকে অন্যত্র স্থানান্তরিত করা হয়েছে। এছাড়াও ইসিএলের নিজস্ব নিরাপত্তারক্ষীও তুলে নেওয়া হয়েছে। ওই কোলিয়ারিতে একজন মাত্র ইসিএলের নিরাপত্তা রক্ষী রয়েছেন। বাকি বেসরকারি সংস্থার লাঠিধারী নিরাপত্তা রক্ষী আছে।
ওইদিন রাতে কোলিয়ারি চত্বরে প্রায় ৫ জন নিরাপত্তা রক্ষী ডিউটিতে ছিলেন। রাত পৌনে তিনটে নাগাদ সশস্ত্র ডাকাত দলটি কোলিয়ারিতে ঢুকেই ওই নিরাপত্তা রক্ষীদের মারধর করতে শুরু করে। তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন কেড়ে নেয় ডাকাতদল। এর পরে একটি ঘরে ওই রক্ষীদের বন্ধ করে রেখে লুটপাট শুরু করে। আহত রক্ষী সমীরণ মুখোপাধ্যায়, শেখ সালাউদ্দিন ও দীনেশ মণ্ডল বলেন, ডাকাত দল এসেই প্রথমে আমাদের লাঠিপেটা শুরু করে। এর পরেই আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে আমাদের মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। তার পরে একটি ঘরে আটকে রাখে। সিসিটিভি ক্যামেরাগুলি ভেঙে দেয়। যন্ত্রাংশ লুট করে যাওয়ার সময় আমাদের জিজ্ঞাসা করে সিসিটিভি চালু ছিল কি না। আমরা বলি, বন্ধ আছে। তখন একজন ডাকাত আমাদের হুমকি দেয়। যদি সিসিটিভি চালু থাকে, তাহলে কাল তোদের দেখাব মজা। প্রায় ২৫ জন ডাকাত ছিল। সকলে মুখে কাপড় বেঁধে এসেছিল। বাঁকেলা এরিয়ার সিকিউরিটি ইনচার্জ সরোজ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ওই কোলিয়ারিতে নিরাপত্তা রক্ষী বাড়াতে হবে। ইসিএল কর্তৃপক্ষকে সেই বিষয়ে লিখিতভাবে একাধিকবার জানানো হয়েছে। কিন্তু কোনও সুরাহা হচ্ছে না।