ধর্মকর্মে সঞ্চীয় অংশগ্রহণে মানসিক তৃপ্তি ও সামাজিক সুনাম। পেশাদার শিল্পীদের শুভ সময়। ... বিশদ
রানাঘাটের বেগোপড়ার কাছে ১২নম্বর জাতীয় সড়ক থেকে শুরু হচ্ছে রাস্তাটি। এই লিংক রোড ধরেই সরাসরি চলে যাওয়া যায় কুপার্স ক্যাম্প এলাকায়। রানাঘাট-২ ব্লকের নোকারিতে রানাঘাট-পানিখালি রাজ্য সড়কের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে এই কুপার্স লিঙ্ক রোড। সব মিলিয়ে রাস্তার দৈর্ঘ্য প্রায় ৪.২৫কিলোমিটার। রানাঘাট শহরের যানজট, রেললাইন পারাপার এড়িয়ে সহজেই এই রাস্তা দিয়ে পানিখালি, নোকারি, দত্তপুলিয়া, আড়ংঘাটা, বগুলা, রায়নগর, গাংনাপুর যাওয়া যায়। অথচ গোটা রাস্তাটির অবস্থা দুর্বিষহ। গোটা রাস্তাতেই কয়েক হাত অন্তর প্রকাণ্ড গর্ত। বৃষ্টি হলেও এগুলি বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। তবে সবচেয়ে বেহাল নোকারি থেকে কুপার্স পর্যন্ত প্রায় ৩০০মিটার রাস্তা। হেঁটে যাতায়াত করা একপ্রকার অসম্ভব হয়। টোটো নিয়মিত উল্টে যায়। বাইক অথবা সাইকেল নিয়ে যাতায়াত করতে হয় কার্যত প্রাণ হাতে।
গোটা কুপার্স ও আশেপাশের একাধিক এলাকার মানুষের যাতায়াতের মাধ্যম এই রাস্তা। জেলার সবচেয়ে বেশি ফুল চাষ হয় রানাঘাট-২ ব্লকে। হাওড়া, কলকাতার ফুলবাজার ও উত্তরবঙ্গেও ফুল রপ্তানি হয় এখান থেকে। অথচ বছর খানেক ধরে বেহাল অবস্থায় থাকা রাস্তার কারণে সরাসরি জাতীয় সড়ক ধরতেই পারেন না চাষিরা। রোগী নিয়ে অ্যাম্বুলেন্স যাতায়াত বিরাট ঝুঁকিপূর্ণ। ফলে দ্রুত রোগীকে রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে পৌঁছতে গেলে অতিরিক্ত রাস্তা ঘুরে যেতে হয়।
অ্যাম্বুলেন্স চালক তুহিন রক্ষিত বলেন, রাস্তার যা পরিস্থিতি সেখানে দিয়ে রোগী নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। ঘুরে যেতে গেলে রেললাইন পারাপার করতে হয়। রেলগেটের কারণে সেখানে দীর্ঘক্ষণ অ্যাম্বুলেন্স আটকে থাকে। সময়ে রোগীকে হাসপাতালে পৌঁছনোই একটা চ্যালেঞ্জ। কুপার্সের বাসিন্দারা বলছেন, লোকসভা ভোটের আগে জেলা পরিষদের তরফে সাময়িকভাবে রাস্তাটি সংস্কার করা হয়েছিল। কিন্তু নিম্নমানের কাজ হওয়ায় তা টেকেনি। আগের চেয়েও খারাপ পরিস্থিতি তৈরি হয়ে গিয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে নদীয়া জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ দেবাশিস গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার আওতায় ওই রাস্তা আনা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার আর্থিক অনুমোদন দিলেই রাস্তা তৈরি হবে। প্রশাসনের অন্য একটি সূত্র বলছে, আপাতত রাস্তাটি সংস্কার করার জন্য ২৫লক্ষ টাকা ব্যয় করার চিন্তাভাবনা হয়েছে। তাঁদের সেই কাজ পুজোর পরেই শুরু করা সম্ভব। আর এতেই ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ। পুজোর সময়েই এই মরণফাঁদ থেকে নিস্তার পাবেন না তারা? উঠছে প্রশ্ন।