ধর্মকর্মে সঞ্চীয় অংশগ্রহণে মানসিক তৃপ্তি ও সামাজিক সুনাম। পেশাদার শিল্পীদের শুভ সময়। ... বিশদ
সংবাদদাতা, বহরমপুর: দেবীপক্ষে সহমর্মিতার বার্তা দিল বেলডাঙা চক্রের ৩০ নম্বর আণ্ডিরণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। সারা বছর ধরে টিফিন খরচ বাঁচিয়ে স্কুলের শিশু সংসদের প্রধানমন্ত্রী ত্রাণ তহবিলের জমা টাকায় স্কুলের মিড ডি মিলের কর্মী ও স্বনির্ভর গোষ্ঠীর ১৫জন মহিলার হাতে পোশাক তুলে দিল খুদে পড়ুয়ারা। সঞ্চয়ের জন্য স্কুলে রয়েছে মাটির লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। পোশাক বিলিতে ত্রাণ তহবিলের ঘাটতির টাকা স্কুল শিক্ষকরা নিজেদের বেতন থেকে মেটালেন।
সারা বছর স্কুলের মিড ডে মিলের হেঁশেল সামলে শিশুদের মুখে পুষ্টিকর খাদ্য তুলে দেন গোষ্ঠীর চারজন মহিলা। স্কুল পরিচ্ছন্ন রাখার দায়িত্বও তাঁদের। এর বাইরে এলাকার নিবেদিতা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর ১১জন মহিলা সহ ১৫ জনের হাতে পুজো উপহার তুলে দিল আণ্ডিরণ প্রাথমিক স্কুলের পড়ুয়ারা। পুজোর ছুটির আগে উপহার পেয়ে খুশি সকলেই।
স্কুলে সরকারি খাদ্যতালিকা অনুযায়ী প্রতিদিন মিড ডে মিলের রান্না হয়। তা সত্ত্বেও বহু অভিভাবক ছেলে-মেয়েদের হাতে টিফিন খরচ তুলে দেন। টিফিনের পয়সা থেকেই পড়ুয়ারা প্রতিদিন লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে কিছুকিছু করে জমায়। পুজোর সময় সেই ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে’র টাকা থেকেই কেনা হয় পুজোর পোশাক। কয়েক বছর ধরেই আণ্ডিরণ প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে এভাবেই পুজোর পোশাক বিলি করে আসছে পড়ুয়ারা। এবার মোট খরচ হয়েছে ৬ হাজার ৫০০ টাকা। ত্রাণ তহবিলে জমেছিল ২৫০০ টাকা। বাকি টাকা স্কুলশিক্ষকরা দিয়েছেন। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিশ্বজিৎ দত্ত বলেন, আমরা সমাজ গড়ার কারিগর। তাই পাঠ্যপুস্তকের পাঠের সঙ্গে সঙ্গে আমরা পড়ুয়াদের মানবিক ও সামাজিক হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করি। পড়ুয়াদের নিয়ে বিভিন্ন সামাজিক কাজে এলাকায় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে আণ্ডিরণ প্রাথমিক বিদ্যালয়। বাল্যবিবাহ রোধে পথ নাটিকা বা বই পড়ার আগ্রহ বাড়াতে ভ্রাম্যমাণ গ্রন্থাগার পরিষেবা দিয়ে আসছে পড়িয়ারাই। মানবিক পাঠ দিতে কখনও বিদ্যালয়ে মায়েদের ডেকে মাতৃপুজোর আয়োজন করা হয়। সারাবছর ধরে নানা মনীষীদের জন্ম মৃত্যু দিবস উদযাপন, বিদ্যালয়ে প্রার্থনা সভায় বানীপাঠ দেওয়া হয়। শ্রেণিকক্ষে রয়েছে স্মার্টবোর্ড। বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ২০০-র বেশি। প্রতি ঘণ্টায় পড়ুয়াদের জল পানে অভ্যস্ত করতে রাখা হয়েছে জলঘণ্টা। ফ্রিজ বা কলসির পরিস্রুত পানীয় জল দেওয়া হয়। ইভিএমের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ করেই এই স্কুলে শিশু সংসদ গঠন করা হয়। বিদ্যালয়ের ঝুলিতে রয়েছে শিশুমিত্র পুরস্কার(২০১৯), স্বচ্ছ বিদ্যালয় (২০২২), জেলার সেরা বিদ্যালয়(২০১৯) সম্মান পুরস্কার। ব্যক্তিগতভাবে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জেলার কৃতী শিক্ষক(২০১২), জাতীয় উদ্ভাবনী শিক্ষক(২০১৯) পুরস্কার পেয়েছেন। শিশু সংসদের প্রধানমন্ত্রী অর্পণ মণ্ডল বলে, ১৫ জনের হাতে পুজোর পোশাক তুলে দিতে পেরে খুব আনন্দ হচ্ছে। বৃষ্টি দাস জানাল, এই স্কুলে পড়ে অনেক কিছু শিখতে ও জানতে পারি। • নিজস্ব চিত্র
সারা বছর স্কুলের মিড ডে মিলের হেঁশেল সামলে শিশুদের মুখে পুষ্টিকর খাদ্য তুলে দেন গোষ্ঠীর চারজন মহিলা। স্কুল পরিচ্ছন্ন রাখার দায়িত্বও তাঁদের। এর বাইরে এলাকার নিবেদিতা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর ১১জন মহিলা সহ ১৫ জনের হাতে পুজো উপহার তুলে দিল আণ্ডিরণ প্রাথমিক স্কুলের পড়ুয়ারা। পুজোর ছুটির আগে উপহার পেয়ে খুশি সকলেই।
স্কুলে সরকারি খাদ্যতালিকা অনুযায়ী প্রতিদিন মিড ডে মিলের রান্না হয়। তা সত্ত্বেও বহু অভিভাবক ছেলে-মেয়েদের হাতে টিফিন খরচ তুলে দেন। টিফিনের পয়সা থেকেই পড়ুয়ারা প্রতিদিন লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে কিছুকিছু করে জমায়। পুজোর সময় সেই ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে’র টাকা থেকেই কেনা হয় পুজোর পোশাক। কয়েক বছর ধরেই আণ্ডিরণ প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে এভাবেই পুজোর পোশাক বিলি করে আসছে পড়ুয়ারা। এবার মোট খরচ হয়েছে ৬ হাজার ৫০০ টাকা। ত্রাণ তহবিলে জমেছিল ২৫০০ টাকা। বাকি টাকা স্কুলশিক্ষকরা দিয়েছেন। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিশ্বজিৎ দত্ত বলেন, আমরা সমাজ গড়ার কারিগর। তাই পাঠ্যপুস্তকের পাঠের সঙ্গে সঙ্গে আমরা পড়ুয়াদের মানবিক ও সামাজিক হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করি। পড়ুয়াদের নিয়ে বিভিন্ন সামাজিক কাজে এলাকায় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে আণ্ডিরণ প্রাথমিক বিদ্যালয়। বাল্যবিবাহ রোধে পথ নাটিকা বা বই পড়ার আগ্রহ বাড়াতে ভ্রাম্যমাণ গ্রন্থাগার পরিষেবা দিয়ে আসছে পড়িয়ারাই। মানবিক পাঠ দিতে কখনও বিদ্যালয়ে মায়েদের ডেকে মাতৃপুজোর আয়োজন করা হয়। সারাবছর ধরে নানা মনীষীদের জন্ম মৃত্যু দিবস উদযাপন, বিদ্যালয়ে প্রার্থনা সভায় বানীপাঠ দেওয়া হয়। শ্রেণিকক্ষে রয়েছে স্মার্টবোর্ড। বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ২০০-র বেশি। প্রতি ঘণ্টায় পড়ুয়াদের জল পানে অভ্যস্ত করতে রাখা হয়েছে জলঘণ্টা। ফ্রিজ বা কলসির পরিস্রুত পানীয় জল দেওয়া হয়। ইভিএমের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ করেই এই স্কুলে শিশু সংসদ গঠন করা হয়। বিদ্যালয়ের ঝুলিতে রয়েছে শিশুমিত্র পুরস্কার(২০১৯), স্বচ্ছ বিদ্যালয় (২০২২), জেলার সেরা বিদ্যালয়(২০১৯) সম্মান পুরস্কার। ব্যক্তিগতভাবে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জেলার কৃতী শিক্ষক(২০১২), জাতীয় উদ্ভাবনী শিক্ষক(২০১৯) পুরস্কার পেয়েছেন। শিশু সংসদের প্রধানমন্ত্রী অর্পণ মণ্ডল বলে, ১৫ জনের হাতে পুজোর পোশাক তুলে দিতে পেরে খুব আনন্দ হচ্ছে। বৃষ্টি দাস জানাল, এই স্কুলে পড়ে অনেক কিছু শিখতে ও জানতে পারি। • নিজস্ব চিত্র
