ধর্মকর্মে সঞ্চীয় অংশগ্রহণে মানসিক তৃপ্তি ও সামাজিক সুনাম। পেশাদার শিল্পীদের শুভ সময়। ... বিশদ
জেলার আদিবাসী নেতা রবীন সোরেন অভিযোগ তোলেন, বেশ কিছু ক্ষেত্রে গাফিলতির দিকটি সামনে এসেছে। আদিবাসী শ্রমিকদের নিরাপত্তার দিকটি দেখা হয়নি। না ছিল কাজ করার মতো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা। না ছিল কোনও লাইফ সেভিং জ্যাকেট। তাই সাধারণ ভাবেই বিস্ফোরক ব্যবহারের কাজে তাঁরা চলে গিয়েছিলেন। শুনলাম, মাসে মাত্র ১২ হাজার টাকার বেতন দিয়েই এই প্রাণ বাজি রাখার মতো কাজ করানো হতো। এই ঘটনা কেন ঘটল, তার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চাই। মুখ্যমন্ত্রী ক্ষতিপূরণ ও চাকরির কথা ঘোষণা করেছেন বলে শুনেছি।’
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এই কয়লা কোম্পানি এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে তেমন কিছু ব্যবস্থা নেয় না। বিস্ফোরক বোঝাই গাড়িগুলি খোলা রাস্তা দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। কয়লার ছাইয়ে এলাকায় টেকা দায় হয়ে উঠেছে। এই একই অভিযোগ তুলে প্রথমে ঘটনাস্থলে ও পরে লোকপুর থানায় বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন এলাকার স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক অনুপ সাহা। পুলিস বিজেপি নেতা, কর্মীদের কিছুক্ষণের জন্য থানায় আটক করে রাখে বলেও জানা যায়। বিধায়ক বলেন, এই কয়লা খাদানে বেআইনি ভাবে বিস্ফোরকের রমরমা কারবার চলে বলে জানতে পেরেছি। শাসকদলের নেতা ও পুলিসও এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। সেই কারণে এই ঘটনায় এনআইএ তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।
এদিন সন্ধ্যায় গ্রামে যান জেলাশাসক বিধান রায়। তিনি সেখানে স্বজনহারা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। অন্যদিকে, রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ এদিন নবান্ন থেকে সাংবাদিক সম্মেলন করে জানান, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৩০ লক্ষ টাকা ও ২ লক্ষ টাকা আর্থিক সহায়তার জন্য দেওয়া হবে। এছাড়া একজনকে হোম গার্ডের চাকরি দেওয়া হবে।