সামাজিক কল্যাণ কর্মে সাফল্য ও জনখ্যাতি। বাতজ সমস্যায় বিব্রত হতে পারেন। কাজ কারবারে শুভ। ... বিশদ
কাঁকসা এলাকায় বাসিন্দারা পানাগড় বাজারের উপর নির্ভর করেন। জানা গিয়েছে, সকাল থেকে সিলামপুর, আমলাজোড়া, আদুরিয়া, এগারো মাইল সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষজন পানাগড়ে এসে বাজার করছেন। সন্ধ্যার পর থেকে অবশ্য বাজারে ভিড় জমাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। রাত পর্যন্ত চলছে কেনাকাটা। পানাগড় স্টেশন বাজারের এক কাপড়ের ব্যবসায়ী বলেন, চুড়িদারের চাহিদা রয়েছে। তবে যুবতীরা শাড়ির খোঁজ করছেন। হ্যান্ডলুম শড়ির পাশাপাশি চাহিদা রয়েছে ঢাকাই জামদানির। বিভিন্ন নকশা এবং রঙের জন্য ঢাকাই জামদানির সারাবছর চাহিদা থাকেই। পুজোর সময় তা বাড়ে। বালুচরীর বাজারও আছে। কাপড় ব্যবসায়ী অর্চনা সাধু বলেন, এবারে বাজার মাতাচ্ছে বাংলাদেশি তাঁত। এই শাড়ির দাম সাড়ে ৪০০ থেকে শুরু। ভালোমানের শাড়ির দাম পড়বে প্রায় ১২০০ টাকা। লিনেন বুটিক শাড়িও বিক্রি হচ্ছে। ৬০০ থেকে দাম শুরু। এছাড়া জালকাটান শাড়ির খোঁজ করছেন ক্রেতারা। এই শাড়ির দাম ৪০০ থেকে শুরু। ১২০০ টাকার মধ্যে বিভিন্ন কাজ করা এই শাড়ি পাওয়া যাচ্ছে। বিক্রেতারা জানান, স্ট্রেট প্যান্ট সেট চুড়িদারের চাহিদা এবার তুঙ্গে। তবে কাতান শাড়ির চাহিদা কম। ছেলেদের ক্ষেত্রে রেডিমেড জামা, কুর্তা পাঞ্জাবির চাহিদা বেশি। মানকরের কাপড় ব্যবসায়ী পান্নালাল খাঁ বলেন, আগে জামার ছিটের ব্যাপক বিক্রি ছিল। সেই ট্রেন্ড কমেছে। অধিকাংশই রেডিমেড জামার খোঁজ করছেন। কটনের জামা ও পাঞ্জাবির চাহিদা রয়েছে। তাছাড়া জিনসের প্যান্ট ও কটনের প্যান্টেরও বিক্রি রয়েছে।
পানাগড়ে বাজার করতে আসা সুমেধা মল্লিক বলেন, পুজোর শাড়ি মানেই তাঁতের শাড়ি। প্রতি বছরই বেশ কয়েকটা শাড়ি কিনি। এবারে বাংলাদেশি তাঁত কিনলাম। শাড়িতে বিভিন্ন কাজ রয়েছে। দামও সাধ্যের মধ্যে। বাজারে সিফন, জর্জেট জাতীয় রঙবেরঙের শাড়িও দেখলাম। কলেজ পড়ুয়া নিলয় মাজি বলেন, কর্ডের প্যান্ট কিনলাম। এই ধরনের প্যান্ট হাল-ফ্যাশানের মধ্যে পড়ে না। আলাদা লুকের জন্যই কেনা। রেডিমেড জামার বদলে ক্যাসুয়াল গেঞ্জি কিনেছি। শাড়ির সঙ্গে ব্লাউজেরও নানা সম্ভার রয়েছে দোকানগুলিতে। শাড়ির সঙ্গে মানানসহ বিভিন্ন নকশার ব্লাউজ ব্যাপক বিক্রি হচ্ছে। মহালয়ার পর ভিড় বাড়বে বলে মনে হচ্ছে।