সামাজিক কল্যাণ কর্মে সাফল্য ও জনখ্যাতি। বাতজ সমস্যায় বিব্রত হতে পারেন। কাজ কারবারে শুভ। ... বিশদ
সামশেরগঞ্জের বিডিও সুজিতচন্দ্র লোধ বলেন, এলাকার বাসিন্দাদের আগেই সতর্ক করা হয়েছে। একটি পাকা দোতলা বাড়ি পড়ে গিয়েছে। পরিবারের লোকজন প্রতিবেশীদের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন।
প্রতাপগঞ্জে যাতায়াতের মূল রাস্তাটির একাংশ আগেই গঙ্গায় তলিয়ে গিয়েছে। নদীর পাড় ঘেঁষে যাতায়াত করতেন এলাকার লোকজন। এদিন দুপুরে সেই পথ দিয়ে যেতেই বাইক সহ নদীতে পড়ে যান এক যুবক। স্থানীয় বাসিন্দারা ওই যুবককে উদ্ধার করে। তার কিছুক্ষণ পরই নিমেষের মধ্যেই পেশায় রাজমিস্ত্রি নওশাদ আলির দোতলা বাড়িটি ভেঙে পড়ে।
বছর দু’য়েক আগে এলাকায় ব্যাপক ভাঙন হয়। ওই বাড়িটি ভাঙনের করাল গ্রাস থেকে রক্ষা পেয়েছিল। তারপর ওই এলাকায় তেমন ভাঙন না হওয়ায় বাসিন্দারা কিছুটা হলেও স্বস্তিতে ছিলেন। কিন্তু এবার নদীতে জলস্তর বৃদ্ধি হতেই অল্প অল্প নদীর পাড় ভাঙতে শুরু করে। বাড়িটি কার্যত খাদের কিনারায় ঝুলছিল। এদিন দুপুর ২টো নাগাদ বাড়িটি কার্যত হুড়মুড়িয়ে নদীতে ভেঙে পড়ে। চোখের সামনে এই দৃশ্য দেখে কান্নার রোল ওঠে। শিশুরা আতঙ্কে চিৎকার করে কান্নাকাটি জুড়ে দেয়। বড়রাও চোখের জলে শিশুদের সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করেন। নওশাদ সাহেব রাজমিস্ত্রির কাজ করে ছেলেদের নিয়ে কয়েক বছর আগে বাড়িটি নির্মাণ করেন। বড় সংসারে থাকতেন। মাথা গোঁজার আশ্রয়টুকু হারিয়ে আপাতত প্রতিবেশীদের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। নওশাদ সাহেবের ছেলে জিয়াউল আলি বলেন, কত কষ্ট করে বাড়িটি তৈরি করেছিলাম। তখন তো গঙ্গা অনেক দূরে ছিল। নদী এসে বাড়ি গিলে খাবে জানলে কী আর বাড়ি করতাম? এখন কোথায় যাব জানি না। কপালে যা আছে হবে।
এলাকার বাসিন্দারা বলেন, দু’বছর আগে ব্যাপক ভাঙনে বহু পাকা বাড়ি, চাষের জমি ও গাছপালা নদীতে তলিয়ে যায়। বহু মানুষ ভিটেমাটি ছেড়ে অন্যত্র নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যান। আবার আশ্রয়হীন হওয়ার আশঙ্কায় ঘুম ছুটেছে অনেকের। বোগদাদনগর পঞ্চায়েতের প্রধান নাজমিরা খাতুন বলেন, বাড়িটি গত দু’বছর ধরেই খাদে ঝুলছিল। এদিন তলিয়ে গিয়েছে। আশপাশের আরও কিছু পরিবার সরে গিয়েছে।