সামাজিক কল্যাণ কর্মে সাফল্য ও জনখ্যাতি। বাতজ সমস্যায় বিব্রত হতে পারেন। কাজ কারবারে শুভ। ... বিশদ
এর আগে ফরাক্কা ব্যারেজে ডাউন স্ট্রিম ও আপস্ট্রিমে গঙ্গায় জলস্তর ব্যাপকভাবে বাড়ছিল। জলস্তর বাড়তে থাকায় রবিবার রাতেই ফরাক্কা, সূতি ১ ও ২, সামশেরগঞ্জ, রঘুনাথগঞ্জ -২ ও লালগোলা ব্লকে সর্তকতা জারি করে জেলা প্রশাসন। সেইসঙ্গে ধুলিয়ান শহরের নদী-তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের সতর্ক করা হয়েছিল।
সোমবার রাতেই গঙ্গা ভূমিক্ষয় রোধ নিবারণ সংস্থা নতুন নির্দেশিকা জারি করেছে। ভগবানগোলা ১ ও ২, রানিনগর-২ ও জলঙ্গি ব্লকে নতুন করে সতর্কতা জারি হয়েছে। এদিকে, মঙ্গলবারও সামশেরগঞ্জে ব্যাপক ভাঙন হয়। এদিন নদীর ধারের একটি দোতলা বাড়ি হুড়মুড়িয়ে জলে পড়ে যায়।
জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল ৬টায় নিমতিতায় গঙ্গার জলস্তর বিপদসীমার অনেক উপরে ছিল। সোমবার সকালে নিমতিতায় জলস্তর ছিল ২২.১৭ মিটার। সেখানে এদিন জল রয়েছে ২২.২৮ মিটার। এখানে নদীর বিপদসীমা ২১.৯০ মিটার। নুরপুরের কাছে সোমবার গঙ্গার জলস্তর ছিল ২১.৩৩ মিটার। সেখানে এদিন জল বেড়ে হয়েছে ২১.৪৪ মিটার। এখানে জলের বিপদসীমা ২১.০৩ মিটার। সোমবার গেরিয়ায় গঙ্গার জলস্তর ছিল ২১.১৮ মিটার। সেখানে এদিন জল বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১.২৯ মিটার। এখানে বিপদসীমা ২০.৯৪ মিটার। প্রতিটি জায়গায় বিপদসীমার থেকে প্রায় ৫০ সেন্টিমিটার বেশি জলস্তর রয়েছে। জেলা বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা দপ্তরের আধিকারিক কমল চক্রবর্তী বলেন, আমরা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছি।
মুর্শিদাবাদের সাংসদ আবু তাহের খান বলেন, সবাই সতর্কতা অবলম্বন করবেন। কোনও বিপদ সংকেত বুঝতে পারলেই একে অপরকে সহযোগিতার মাধ্যমে বিপদ কাটিয়ে উঠতে হবে। ভয় পাবেন না। আমরা সবাই প্রতিটি মুহূর্তে মানুষের পাশে আছি।
জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, সোমবার ছ’টি ব্লক ও একটি পুর এলাকায় সতর্কতা জারি করা হয়। এদিন আরও চারটি ব্লকে সর্তকতা জারি করা হয়েছে। গঙ্গা ও পদ্মার জলস্তর ক্রমাগত বাড়ছে। বিপদসীমার অনেক উপরে রয়েছে জল। আমরা মাইকিং করে স্থানীয়দের সতর্ক করছি। বুধবার জলস্তর চরম বিপদসীমা পার করলেই ওই ১০টি ব্লক ও একটি পুর এলাকা বানভাসি হতে পারে।