সামাজিক কল্যাণ কর্মে সাফল্য ও জনখ্যাতি। বাতজ সমস্যায় বিব্রত হতে পারেন। কাজ কারবারে শুভ। ... বিশদ
গত লোকসভা ভোটে বীরভূমের দুই কেন্দ্রেই ব্যাপক ফলাফল করেছে তৃণমূল। কিন্তু দু’-একটি শহর বাদে প্রতিটি শহরেই হারের মুখ দেখতে হয়েছে তাদের। বিশেষ করে সিউড়ি পুরসভায় ৬৬৪৮ ভোটে বিজেপি এগিয়ে রয়েছে। বোলপুর শহরে ৫৮০৪ ভোটে শাসকদল পিছিয়ে। সব থেকে খারাপ ফলাফল রামপুরহাটে। ১৮টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৬টি ওয়ার্ডেই হারের মুখ দেখেছে তৃণমূল। চেয়ারম্যানের নিজের ওয়ার্ডেই দল হেরেছে। এছাড়াও এর আগে পুরসভা নিয়ে বৈঠকে সিউড়ি পুরসভার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন তিনি। রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠছিল, সরকারি প্রকল্প গ্রাম, শহর দুই জায়গায় চললেও কেন শহরে মানুষের ভোট কম মিলছে। তাহলে কী সরকারি পরিষেবা নিয়ে শহরবাসীরা সন্তুষ্ট নন। সেই কথা মাথায় রেখে বীরভূমের পুরসভাগুলির মানুষকে পরিষেবার বিষয়েই জোর দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন বোলপুরের গীতাঞ্জলি প্রেক্ষাগৃহে ৬টি পুরসভার চেয়ারম্যান উপস্থিত ছিলেন। জানা যায়, সেখানেই মুখ্যমন্ত্রী কাগজ কলম নিয়ে সমস্ত পুরসভার রিপোর্ট খুঁটিনাটি দেখতে থাকেন। কোন শহরে কত সিসি ক্যামেরা লাগানো আছে, জলের সমস্যা কোথায় রয়েছে, নতুন জলস্বপ্ন প্রকল্পের কাজে কোন পুরসভা কতটা এগিয়েছে, এসব খুঁটিনাটি বিষয়ের রিপোর্ট তিনি দেখেন। আর তারপরেই তিনি মন্তব্য করেন, মানুষের পরিষেবা দেওয়াতে আরও জোর দিতে হবে। সেই কারণে জেলার দুই বিধায়ককে নিয়ে তিনি একটি টিম তৈরি করে দিলেন। আগামী ক’দিনের মধ্যে বৈঠক করে কোথায় পরিষেবা দিতে কার কী সমস্যা হচ্ছে, তা দেখার নির্দেশ দেন তিনি। সূত্রের খবর, ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এই টিম বিস্তারিত আলোচনা করে কাজে নেমে পড়বে। তারপর মিশন মোড আকারে পুরসভাগুলির সঙ্গে আলোচনা চলবে।
সিউড়ি চেয়ারম্যান উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায় বলেন, আমার একটি বড় নিকাশি নালার সংস্কার করতে হবে বলে প্রস্তাব রেখেছি। বাদবাকি মুখ্যমন্ত্রী যা বলেছেন, সেভাবেই কাজ করে যাব। বিধায়ক আশিসবাবু বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতোই আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। মানুষকে পরিষেবা দেওয়াই আমাদের এখন প্রধান লক্ষ্য। অন্যদিকে, জেলার ১৯ টি পঞ্চায়েত সমিতির উন্নয়নমূলক কাজ দেখবার জন্য জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখকে নিয়মিত দেখভাল করতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। জেলা পরিষদ ও পঞ্চায়েত সমিতির সমন্বয় ঘটাতেই তাঁর এই নির্দেশ বলেই মনে করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, বীরভূমের শক্তিপীঠগুলিতে জল উঠে যাওয়া কীভাবে ঠেকানো যায়, তা দেখতে বলেছেন জেলাশাসককে। বন্যার পাশাপাশি জেলার উন্নয়ন নিয়ে এমন একাধিক বিষয়ে আলোকপাত করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।