উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
২০১৬সালে তেহট্টের বিধায়ক হন গৌরীশঙ্করবাবু। এবার তৃণমূল তাঁকে টিকিট না দেওয়ায় বুধবার তিনি কলকাতায় বিজেপির সদর দপ্তরে গিয়ে গেরুয়া শিবিরে নাম লেখান। এমনিতেই এই বিধানসভায় গোষ্ঠীকোন্দলে জর্জরিত বিজেপি। এরপর গৌরীবাবু দলে আসায় সেই কোন্দল আরও বাড়বে বলে দলের কর্মীদের আশঙ্কা। এক বিজেপি কর্মী বলেন, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই বিধানসভায় তৃণমূল রিগিং ও সন্ত্রাস করেছিল। তার নেতৃত্বে ছিল বিধায়কের লোকজন। তখন থেকে আমরা ওঁর বিরুদ্ধে প্রচার চালিয়েছিলাম। এখন সেই বিধায়ক আমাদের দলে যোগ দিয়েছেন। এনিয়ে সাধারণ মানুষের প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে। আমরা কী জবাব দেব? তিনি আরও বলেন, বিধায়ক থাকাকালীন তৃণমূলে গোষ্ঠীকোন্দল ছিল। এবার আমাদের দলেও গোষ্ঠীকোন্দল আরও বাড়বে। এমনিতেই দলে গোষ্ঠীকোন্দল রয়েছে। আর এক বিজেপি কর্মী বলেন, গৌরীবাবু আমাদের দলে যোগ দেওয়ায় দল এখানে অনেক শক্তিশালী হল। কারণ বিধায়ক থাকাকালীন উনি তেহট্টের জন্য যা উন্নয়ন করেছেন তা আমরা দেখতে পাচ্ছি। উনি দলে যোগ দেওয়ায় আমাদের জয় নিশ্চিত। উনি আমাদের দলে আসায় কোনও গোষ্ঠীকোন্দল হবে না। কারণ উনি অভিভাবকের মতো গোষ্ঠীকোন্দল মিটিয়ে দেবেন।
এব্যাপারে বিজেপির নদীয়ার উত্তরের সাধারণ সম্পাদক অর্জুন বিশ্বাস বলেন, বিষয়টা সম্পূর্ণ রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বিষয়। এটা স্থানীয় বিষয় নয়। ওঁদের কীভাবে ব্যবহার করবে সেটা রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ঠিক করবে। ওঁরা বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী হবেন না সেই শর্তসাপেক্ষে দলে এসেছেন। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ব্যাপারে তিনি বলেন, মাথা থাকলে তো ব্যথা করে। এই বিষয়টিও তাই। তবে এনিয়ে চিন্তার কিছু নেই। উনি সিনিয়র নেতা, দলের স্বার্থে সবকিছু মানিয়ে নেবেন।
এব্যাপারে গৌরীশঙ্করবাবু বলেন, দীর্ঘ ২১বছর দলের সুখ-দুঃখে ছিলাম। এবার প্রার্থী করল না তাতে কিছু যায় আসে না। সৌজন্য দেখিয়ে ফোন করে বলতে পারত দল। সম্মানের সঙ্গে কাজ করার জন্য বিজেপিতে যোগ দিয়েছি। এখানে আমি প্রার্থী হওয়ার জন্য আসিনি। দল যেরকম বলবে সেইভাবেই আমি কাজ করব। গোষ্ঠীকোন্দলের কোনও বিষয় নেই। তৃণমূল নেতা তথা তেহট্টের শাসকদলের প্রার্থী তাপসকুমার সাহা বলেন, উনি দলবদল করায় আমাদের কোনও ক্ষতি হয়নি। এবার আমরা নিশ্চিন্তে জিততে পারব। ওদের দলে কী হবে সেটা ওদের ব্যাপার।