উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
এসডিও অফিসের গেটের সামনে মানসবাবুকে দেখে বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা উত্তেজক স্লোগান দিতে থাকেন। তাঁকে এমনভাবে ঘিরে ধরা হয় যে, তিনি আটকে পড়েন। বিজেপি কর্মীরা বারবার তাঁর দিকে তেড়ে যান। নেতাকে হেনস্তা হতে দেখে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা তেড়ে এগিয়ে যান। ফলে উত্তেজনা দেখা দেয়। খড়্গপুরের এসডিপিও দীপক সরকারের নেতৃত্বে পুলিস ও কেন্দ্রীয় বাহিনী পরিস্থিতি সামাল দেয়। মানসবাবুকে ভিড়ের মধ্যে থেকে বের করে গাড়িতে তুলে দেওয়া হয়।
মানসবাবু বলেন, এটা স্বৈরাচারী কালচার। ওদের গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধা নেই। তবে, এই তাণ্ডবের দৃশ্য খড়্গপুরের মানুষ দেখেছেন। এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে, এরা ক্ষমতায় এলে কী হবে। অমূল্যবাবু বলেন, উনি যখন বেরচ্ছিলেন, সেই সময় আমরাও মনোনয়নপত্র জমা দিতে যাচ্ছিলাম। আমাদের দলের কর্মীরা স্লোগান দিয়েছেন। জয় শ্রীরাম ধ্বনি দিয়েছেন। এতে অন্যায়ের কিছু নেই। আমাদের কর্মীরা যখন সবং থেকে খড়্গপুর আসছিলেন, সেই সময় বিভিন্ন রাস্তায় মানসবাবুর লোকেরা আমাদের গাড়ি আটকে ছিল। আমরা তো সেরকম কিছু করিনি। তৃণমূল নেতা আবু কালাম বক্স অবশ্য অমূল্যবাবুর অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
২০০৬ সালের পর ফের মানসবাবু ও অমূল্যবাবু মুখোমুখি প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। সেবার বিধানসভা ভোটে অমূল্যবাবু তৃণমূলের প্রার্থী ছিলেন, আর মানসবাবু কংগ্রেসের। সেবার অমূল্যবাবু হেরে গিয়েছিলেন। ত্রিমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় যোগ্য প্রার্থী হিসেবে মানসবাবুকেই বেছে নিয়েছিলেন সবংয়ের মানুষ। তারপরের দু’টি ভোটেও মানসবাবুই জয়ী হয়েছিলেন। তিনি রাজ্যসভায় চলে যাওয়ায় খালি হওয়া আসনে জয়ী হয়েছিলেন তাঁর স্ত্রী গীতারানি ভুঁইয়া। এবার মানসবাবু তৃণমূলের প্রার্থী আর অমূল্যবাবু বিজেপির।
এদিন খড়্গপুর এসডিও অফিসে খড়্গপুর সদর কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী রীতা শর্মা, পিংলার কংগ্রেস প্রার্থী সমীর রায়, পিংলার বিজেপি প্রার্থী অন্তরা ভট্টাচার্য, ডেবরার বিজেপি প্রার্থী ভারতী ঘোষ ও কেশপুরের বিজেপি প্রার্থী প্রীতীশ কুঁয়ার মেদিনীপুর জেলাশাসকের অফিসে মনোনয়নপত্র জমা দেন। খড়্গপুরের কংগ্রেস প্রার্থী দলীয় অফিস থেকে মিছিল করে এসডিও অফিসে আসেন। মিছিলে সিপিএমের নেতা ও কর্মীরাও পা মেলান। ডেবরা, পিংলা ও কেশপুরের বিজেপি প্রার্থীরাও মিছিল করে এসে মনোনয়নপত্র জমা দেন।