উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
বর্তমান উত্তরের নিশীথ মালিক এদিন সকালে বর্ধমান-২ ব্লকের হাটগোবিন্দপুরে বড় পঞ্চানন তলায় পুজো দিয়ে নির্বাচনী প্রচার শুরু করেন। তারপর এলাকায় পদযাত্রা করে মানুষের সাথে জনসংযোগ সারেন। হাটগোবিন্দপুরের হাটে মানুষের সাথে কুশল বিনিময় করেন তিনি। তারপর বড়শুল কালিনগরের একটি মন্দিরে বিকালে পুজো দিতে যান। এরপর বর্ধমান ১ ব্লকের জামারের একটি শিবমন্দিরে যান সন্ধ্যায়। সেখানে উপস্থিত ভক্তদের সঙ্গে পুজো দেন তিনি। একই ভাবে বর্ধমান দক্ষিণের প্রার্থী খোকন দাস সকাল থেকে নির্বাচনী প্রচারে নেমে পড়েন। ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে বাড়ি বাড়ি গিয়ে জনসংযোগ সেরে ১০৮ শিব মন্দিরে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন। তারপর আলমগঞ্জ মোটা শিবতলায় মহাশিবরাত্রির অনুষ্ঠানে যোগদান করেন। সেখানে মানুষের সাথে কুশল বিনিময় করে ভোটের প্রচার সারেন। সন্ধ্যায় মেহেদিবাগানে শিবরাত্রির অনুষ্ঠানে যান তিনি। রাতে ১২ নম্বর ওয়ার্ডে কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করে প্রচারে আরও জোর দিতে হবে বলে জানান। দুই প্রার্থী এদিন বলেন, মানুষের কাছে ভোট ভিক্ষা করতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের উন্নয়নের কথা বলছি। অনেকেই জানতে চাইছেন যে দিদি কেমন আছেন? সকলেই তার দ্রুত আরোগ্য কামনা করছেন। আজকে চারিদিকে শিবরাত্রি পুজো দিচ্ছেন সকলে। মহাদেবের কাছে প্রার্থনা করছেন জননেত্রী যাতে দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন এবং আবার প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়েন। আমরাও মন্দিরে গিয়ে ঈশ্বরের কাছে সেই প্রার্থনাই করেছি।
যদিও, এদিন ১০৮ মন্দিরে একটি কর্মসূচিতে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ বর্ধমান উত্তর ও দক্ষিণ দুই তৃণমূল প্রার্থীর বিরুদ্ধে। ওই অনুষ্ঠানে হেলমেট বিলি করে ভোটারদের কাছে টানার চেষ্টা করছে তৃণমূল প্রার্থীরা, এই অভিযোগ এনে আসরে নেমেছে বিজেপি। বিজেপির তরফে কমিশনে অভিযোগ জানানো হচ্ছে। বিজেপি সদর জেলা সম্পাদক শ্যামল রায় বলেন, বিগত ১০ বছর ধরে মানুষের কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে এরা। এখন নির্বাচনের আগে ভোট পাওয়ার জন্য মানুষকে এরকম উপহার দিয়ে কাছে টানার চেষ্টা করছে। এরপর হয়তো দেখা যাবে টাকাও দেবে ভোটারকে। আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানাচ্ছি এবং অনুরোধ করব, আগামীতে যাতে এই দু’জনের উপর কমিশন নজরদারি চালু রাখে। বিজেপির এই অভিযোগে অস্বস্তিতে রয়েছে তৃণমূল। নিশীথ মালিক বলেন, পঞ্চায়েতের তরফে এই অনুষ্ঠান প্রতিবছরই হয়ে থাকে। রাস্তায় অনেক মানুষ বিনা হেলমেটে বাইক নিয়ে যাতায়াত করছেন। তাঁদেরকে সচেতন করার জন্য কয়েকজনকে হেলমেট দেওয়া হয়েছে।