শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহবৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে মানসিক ... বিশদ
প্রতিনিয়ত বিভিন্ন এলাকায় ভিক্ষুকদের এবং ভারসাম্যহীন মানুষ সহ যাযাবর অনেককেই ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনি শিকার হতে হচ্ছে। রেহাই পাইনি মৃত্যুর হাত থেকেও। ছেলেধরা গুজব থেকে মানুষকে সচেতন করতে পুলিস প্রশাসন একাধিক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। শুক্রবার রাজ্য পুলিসের ডিজি আসানসোলে একটি সাধারণ পর্যালোচনায় এসে ছেলেধরা গুজবে মানুষকে সচেতন করতে পুলিস আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা করেন। পাশাপাশি তিনি এই বিষয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন হওয়ার বার্তা দেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কাঁকসা থানার বিদবিহার এলাকায় শুক্রবার সকালে এক যুবককে এলাকাবাসী ছেলেধরা সন্দেহে ধরে একটি ক্লাব ঘরে আটকে রাখেন। ওই যুবকের ব্যাগ থেকে একটি খেলনা পিস্তল, গামছা, পারফিউমের শিশি, চকোলেট সহ বিস্কুট উদ্ধার হয়। এলাকাবাসী তার নাম পরিচয় ও কি উদ্দেশ্যে এলাকায় এসেছে জানতে চান। কথায় অসঙ্গতি থাকায় পুলিসে খবর দেন তাঁরা। মলানদিঘি ফাঁড়ির পুলিস এসে ওই যুবককে আটক করে নিয়ে যায়। পুলিস জানিয়েছে, ওই যুবক মানসিক ভারসাম্যহীন। তার নাম পরিচয় জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার কাঁকসার বাঁশকোপা এলাকায় এক যুবতীকে ছেলেধরা সন্দেহ এলাকাবাসী ধরে পুলিসের হাতে তুলে দেন। এলাকাবাসীর অভিযোগ, অজ্ঞাতপরিচয়ের ওই যুবতী এলাকায় বাচ্চাদের বিস্কুট ও আলুর পাঁপড় দেওয়ার চেষ্টা করছিল। সন্দেহ হলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে অভিনয় করে বোঝায় সে মূক ও বধির। এরপর তাকে হেনস্তা করতেই কথা বলতে শুরু করে। আর জানায় সে ভিক্ষাবৃত্তি করে জীবনযাপন করে। এলাকাবাসীর সন্দেহ হলে তাকে পুলিসের হাতে তুলে দেয়। পুলিস তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। যদিও শুক্রবার পর্যন্ত পুলিস তার নাম ঠিকানা জানতে পারেনি বলে দাবি। অপরদিকে বৃহস্পতিবার রাতে দুর্গাপুরের বেনাচিতি বাজার সংলগ্ন এলাকায় এক যুবককে ছেলেধরা সন্দেহে দুর্গাপুর থানার পুলিসের হাতে তুলে দেন বাসিন্দারা।
এদিন একটি সাধারণ পর্যালোচনায় রাজ্য পুলিসের ডিজি বীরেন্দ্র কুমার আসানসোল এসে বলেন, চারিদিকে ছেলেধরা সন্দেহে যাকে-তাকে মারধরের বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে এবং সকলের কাছে একটাই অনুরোধ, এধরনের ঘটনা ঘটলে আইন নিজেদের হাতে না নিয়ে পুলিসে খবর দেবেন।