শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহবৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে মানসিক ... বিশদ
দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, লোকসভা নির্বাচনের পর আরামবাগ ব্লকের সালেপুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সঞ্জিত অধিকারী, উপপ্রধান ঝুমা কারক সহ পঞ্চায়েতের আট সদস্য তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেন। তবে ফের তাঁরা তৃণমূলে ফিরতে চেয়ে জেলা ও রাজ্যস্তরের নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেন। জানা গিয়েছে, রাজ্য নেতাদের সবুজ সংকেত পাওয়ার পরেই এদিন সকালে তাঁরা দলের জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব ও আরামবাগ পুরসভার চেয়ারম্যান তৃণমূলের স্বপন নন্দীর নেতৃত্বে সড়ক পথে আরামবাগ থেকে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেন। পরে বিকেলের দিকে কলকাতায় অনুষ্ঠিত হয় যোগদান পর্ব।
রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছে, তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলেও দলে গুরুত্ব না পাওয়ায় আবারও তাঁরা শাসক দলে ফিরছেন। ইতিমধ্যে খানাকুল ও পুরশুড়া বিধানসভা থেকে ১২জন দলত্যাগী নেতা তৃণমূলে যোগদান করেছেন। তারপর আবারও এদিন আরামবাগের ৮ নেতা তৃণমূলে ফিরে এলেন। এক সপ্তাহের মধ্যে বিজেপি থেকে মোট ২০জন নেতা পুরনো দলে ফেরায় কিছুটা হলেও অস্বস্তিতে পড়েছে বিজেপি।
প্রসঙ্গত, দিনকয়েক আগে পুরশুড়ায় একটি সমাবেশে হুগলি জেলা তৃণমূলের সভাপতি দিলীপ যাদব স্পষ্ট ভাবেই বলেছিলেন, যারা দলত্যাগ করে গেরুয়া শিবিরে গিয়েছে। তাদের মধ্যে কেবলমাত্র একজনকে বাদ দিয়ে বাকি প্রত্যেককেই দলে ফিরিয়ে আনা হবে। তার জন্য জেলা নেতৃত্ব নির্দিষ্ট করে দশ দিন সময় বেঁধে দিয়েছিল। তারপরেই আরামবাগ, পুরশুড়া, খানাকুল থেকে একের পর এক নেতা তৃণমূলে ফিরতে শুরু করেন।
এবিষয়ে সালেপুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বলেন, আরামবাগের তৃণমূলের ব্লক সভাপতি স্বপন নন্দী ও বিধায়ক কৃষ্ণ চন্দ্র সাঁতরা আমার পিতৃতুল্য। পরিবারে একসঙ্গে থাকতে গেলে বিভিন্ন সময় মান-অভিমান হয়। সেই অভিমানের কারণেই আমি তৃণমূল ছেড়েছিলাম। কিন্তু, পরে ভুল বুঝতে পেরে আবারও পুরনো দলে ফিরতে চেয়েছিলাম। এতে তাঁরাও সম্মতি দিয়েছেন। বর্তমানে আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শ মেনে আবারও দলের হয়ে কাজ করতে চাই।
উল্লেখ্য, ওই গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট ১৪জন সদস্য রয়েছেন। তারমধ্যে লোকসভা নির্বাচনের পর তৃণমূলের ৮ জনপ্রতিনিধি বিজেপিতে যাওয়ায় গেরুয়া শিবিরের দিকেই পাল্লা ভারী হয়। তবে এদিনের দল বদলের পর ফের বিজেপি অস্বস্তিতে পড়েছে। এবিষয়ে বিজেপির আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিমান ঘোষ বলেন, যাঁরা বারবার দল বদল করেন তাঁরা প্রকৃত অর্থে দলকে ভালোবাসেন না। নিজেদের স্বার্থেই তাঁরা এই দল বদল করেছেন।