শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহবৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে মানসিক ... বিশদ
কথিত আছে, তারামায়ের মন্দিরের সামনে এই কুণ্ডের জলের স্পর্শে জয়দত্ত সদাগরের ছেলে ধনঞ্জয় বেঁচে ওঠে। তাই এর নাম হয় জীবিতকুণ্ড। গত ৩ আগস্ট তারাপীঠ মন্দির চত্বরের জীবিতকুণ্ডর জলে তলিয়ে মৃত্যু হয় অসমের যীশু চক্রবর্তী (৩২) নামে এক পুণ্যার্থীর। যে জীবিতকুণ্ডের জলে জয়দত্ত সদাগরের পুত্র ধনঞ্জয়ের দেহে প্রাণ ফিরে এসেছিল, সেই জলেই এক পুণ্যার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় হতবাক হয়ে পড়েন পুণ্যার্থীরা। এদিকে অপমৃত্যু হওয়ায় অশুদ্ধ হয়ে পড়ে জীবিতকুণ্ডের জল। যার জেরে চিরাচরিত প্রথা অনুযায়ী জীবিতকুণ্ডের জলে ঘট ভরে মায়ের পুজো বন্ধ হয়ে যায়। এতদিন গঙ্গা জল দিয়েই মায়ের পুজো হয়ে এসেছে।
এদিন সকাল থেকে শাস্ত্রমতে জীবিতকুণ্ডের পাড়ে শুদ্ধিকরণ পুজো শুরু হয়। প্রথমে জীবিতকুণ্ড থেকে ১০৮ ঘট জল তুলে পাড়ে ফেলে দেওয়া হয়। পরে দ্বারকা নদ থেকে ৯৭ ঘড়া ও গঙ্গা থেকে আনা ১১ কলসি জল দিয়ে ন’জন পুরোহিত পুজো ও বৈদিক যজ্ঞ করেন। ঢাক ও কাঁসরের বাজনা সহ সেই পুজো চলে দুপুর পর্যন্ত। শেষে দ্বারকা ও গঙ্গার জল ফেলা হয় জীবিতকুণ্ডে।
তারাপীঠ মন্দিরের গবেষক তথা সেবাইত প্রবোধ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, শুদ্ধিকরণ পুজো হওয়ার একমাত্র কারণ, পবিত্রতা ফিরিয়ে আনা। সেই জন্য পুণ্যবারি নিয়ে এসে শুদ্ধিকরণ মন্ত্রোচ্চারণ সহযোগে পুজো ও যজ্ঞ করে অশুদ্ধ জলকে শুদ্ধ করে তোলা হল। তিনি বলেন, মানুষের মধ্যে এখন পবিত্র আধ্যাত্মিকতা ভাব হারিয়ে যাচ্ছে। যার জেরে অঘটন ঘটছে। মানুষের মধ্যে যাতে আধ্যাত্মিক ভাব জাগে এই পুজোর মাধ্যমে সেই বার্তাও দেওয়া হল।
তবে এই প্রথম নয়, এর আগে প্রায় ১৮ বছর আগে একজন জীবিতকুণ্ডের জলে তলিয়ে মৃত্যু হয়েছিল। অন্যদিকে, প্রায় ১০ বছর আগে মন্দিরের সেবাইত নন্দদুলাল পাণ্ডা জলে তলিয়ে যান। দু’বারই একইভাবে জীবিতকুণ্ডের শুদ্ধিকরণ করা হয়েছিল। চিরাচরিত প্রথা অনুযায়ী কোনও অঘটনের পরে শুদ্ধিকরণ পুজোর মাধ্যমে জীবিতকুণ্ডের পবিত্রতা ফিরিয়ে আনা হয়।